প্রতীকী ছবি

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে নামাজ আদায় করা আবশ্যক। অপবিত্রতার সঙ্গে আল্লাহ তায়ালা নামাজ কবুল করেন না। কোনো ধরনের দুর্গন্ধ নিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহ। এতে পাশে থাকা অন্য মুসল্লিদের কষ্ট হয় এবং নিজের নামাজের মনোযোগেও ব্যাঘাত ঘটে। তাই নামাজের সময় যেকোনো ধরনের দুর্গন্ধ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পর ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নামাজে দাঁড়াতে হবে।

মসজিদে প্রবেশের আগেও ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে যেনো মুখে পেঁয়াজের দুর্গন্ধ না থাকে। এ বিষয়ে বিখ্যাত সাহাবি আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- 

একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে রসুন এবং পেঁয়াজ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। সাহাবিরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ দুটির মধ্যে রসুনে তেজ বা ঝাঁঝ বেশি, আপনি কি একে হারাম মনে করেন? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তা খাবে, কিন্তু যে ব্যক্তি তা খাবে, এর দুর্গন্ধ দূর না হওয়া পর্যন্ত সে যেন মসজিদে না আসে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস, ৩৭৮০)

আরেক হাদিসে হজরত মুগীরা ইবন শুবা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি রসুন খাওয়ার পর মসজিদে গমন করি, যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করতেন। এ সময় এক রাকাত নামায শেষ হয়েছিল। যখনই আমি মসজিদে প্রবেশ করি, তখনই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রসুনের গন্ধ পান। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় শেষে বললেন, যে ব্যক্তি এ গাছ (পেঁয়াজ, রসুন) থেকে কিছু খাবে, সে যেন ততক্ষণ আমাদের কাছে না আসে, যতক্ষণ না সে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়... (সুনানে আবূ দাউদ, হাদিস, ৩৭৮৩)

কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পর এর গন্ধ থেকে মুখ পরিষ্কার করা আবশ্যক। তবে গন্ধ দূর না করেও নামাজ পড়লে নামাজ হবে না- বিষয়টি এমন নয়, বরং নামাজ হয়ে যাবে।

এনটি