শবে কদরের ৩ আমল

শবে কদর বা লাইলাতুল কদর— বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ রাত। ২৬ রমজান শেষে যে রাত আসে— তা আমাদের দেশে কদরের রাত হিসেবে পরিচিত। যদিও এই রাত শবে কদর হওয়ার নিশ্চিত কোনো আলামত নেই। তবুও সাহাবায়ে কেরামের আমল ও হাদিসবিশারদদের মত থাকার কারণে এই রাতকে অবহেলা করারও কোনো সুযোগ নেই।

শবে কদর শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শবে কদর সম্পর্কে সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও বিতর্কমুক্ত অভিমত এটিই। তাই শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে অবহেলা উচিত নয়। কিন্তু এরপরও কারো জন্য বেশি করে ইবাদত করা সম্ভব না হলে— অন্তত ২৭ তম রাতে কিছুতেই উদাসীন থাকা কাম্য নয়।

হাদিসের আলোকে ‘লাইলাতুল কদর’ অনুসন্ধানে তিনটি আমলের কথা তুলে ধরা হলো—

রাতে নামাজ ও ইবাদত

আল্লাহর রাসুল (সা.) শবে কদরে ইবাদত-বন্দেগি ও নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে নেকির আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৫)

আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা

এক হাদিসে আছে, আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন— হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি জানতে পারি, লাইলাতুল কদর কোনটি— তাহলে আমি সে রাতে কী বলব? তিনি বলেন, ‘তুমি বলো, হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু, আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)

আরবি উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম; তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি।

ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্নতা

রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি বিজোড় রাতে ইবাদতে মগ্ন থাকা উত্তম। তাহলে আর শবে কদর ছুটে যাওয়ার শঙ্কা থাকে না। এ ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কোরো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০১৭)

আল্লাহ সবাইকে লাইলাতুল কদর লাভের সৌভাগ্য দান করুন। এই রাতকে ইবাদত-বন্দেগি ও ক্ষমা-প্রার্থনায় কাটানোর তাওফিক দিন।