নামাজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম একটি। শরিয়তে ঈমানের পর নামাজের স্থান। প্রতি ওয়াক্ত নামাজ মুমিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে ফজরের নামাজ অন্য চার ওয়াক্তের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফজর নামাজ আদায়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ফজর নামাজ আদায় করলে বহু সওয়াব দেওয়া হবে। অনেক ধরনের পুরস্কারের কথাও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। নিম্নে ফজরের নামাজ পড়ার পাাঁচটি পুরস্কারের কথা আলোচনা করা হলো—

এক. অর্ধরাত ইবাদতের সওয়াব

মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত (নফল) নামাজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল, সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করল।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৭)

দুই. দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে উত্তম

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৫৭৩)

তিন. আল্লাহর নিরাপত্তায়

প্রিয়নবী (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করল সে মহান আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত হলো...।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৯)

চার. উত্তম দিনযাপন

ফজর নামাজ আদায়ের জাগতিক বহু উপকার রয়েছে। রাসুল (সা.) এক হাদিসে বলেন, ‘তোমাদের কেউ ঘুমিয়ে পড়লে, শয়তান তার ঘাড়ের পেছনে তিনটি গিঁট দেয়। প্রতি গিঁটে সে এই কথা বলে, তোমার সামনে দীর্ঘ রাত অপেক্ষা করছে; অতএব তুমি শুয়ে থাকো। অতঃপর সে যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে একটি গিঁট খুলে যায়। অজু করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। অতঃপর নামাজ আদায় করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। তখন তার সকাল হয় উত্ফুল্ল চিত্তে ও প্রফুল্ল মনে। না হয়, সে সকালে কলুষ কালিমা ও আলস্য নিয়ে ওঠে।’ (বুখারি, হাদিস : ১১৪২)

পাঁচ. জাহান্নাম থেকে মুক্তি
রাসুল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘এমন কোনো ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না, যে সূর্যোদয়ের ও সূর্যাস্তের আগের নামাজ আদায় করে।’ অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামাজ। (মুসলিম, হাদিস : ১৩২২)