ছবি : সংগৃহীত

কেউ জামাত ছাড়া একাকী নামাজ পড়লে— তিনি কী জোরে জোরে শব্দ করে কেরাত পড়বেন? নাকি নিম্ন স্বরে পড়বেন? এমনটা অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন।

এ ক্ষেত্রে সাধারণত দুইটা প্রশ্ন তৈরি হয়— বলে একজন ভাই আমাদের জানিয়েছেন। তার প্রশ্ন দুইটি অধিকাংশ পাঠকেরও মনের কথা। প্রশ্ন দুইটি হলো-

এক. যেসব ফরজ নামাজে সশব্দে কেরাত পড়া হয়, তা যদি কখনো একা আদায় করা হয়— তাহলেও কি সশব্দেই কেরাত পড়া হবে নাকি নিঃশব্দে পড়তে হবে?

দুই. নফল নামাজে আস্তেই কেরাত পড়তে হবে, নাকি শব্দ করেও পড়া যাবে?

উভয় প্রশ্নের উত্তর হলো—

এক. যেসব ফরজ নামাজে উচ্চ স্বরে কেরাত পড়া হয়, তা যদি একাকী আদায় করা হয়— তাহলে তাতে উচ্চ স্বরে কেরাত পড়া জরুরি নয়। নিম্ন স্বরে ও উচ্চ স্বরে দুইভাবেই কেরাত পড়া বা সুরা মেলানো যাবে। তবে উচ্চ স্বরে পড়া উত্তম বলেছেন অনেক ফিকাহবিশারদ।

আরও পড়ুন : জোহর-আসর নামাজে কিরাত আস্তে পড়বেন কেন?

দুই. রাতের নফল নামাজে কেরাতের নিয়মও একই। অর্থাৎ উচ্চস্বরে ও নিম্নস্বরে দুইভাবেই পড়া যায়। তবে উচ্চ স্বরে পড়া উত্তম। আর দিনের নফল নামাজে নিম্ন স্বরে কেরাত পড়া ওয়াজিব। ভুলে দিনের নফলে জোরে কেরাত পড়লে— সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। আর যদি ইচ্ছাকৃত পড়া হয়, তাহলে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে।

তথ্যসূত্র : মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ৩৬৯১, ৩৬৯৪; মাবসুত, সারাখসি : ১/১৭; বাদায়িউস সানায়ি : ১/৩৯৬; ফাতহুল কাদির : ১/২৮৫; রাদ্দুল মুহতার : ১/৫৩৩