প্রতীকী ছবি

সহজেই এক হাজার নেকি লাভ। পাশাপাশি এক হাজার গুনাহ মাফ। আমলটি ছোট এবং সহজ। কিন্তু সওয়াব ও প্রাপ্তির পরিমাণ অনেক। নারী-পুরুষ যে কেউ খুব সহজেই আমলটি করতে পারেন। এমন সৌভাগ্য কেউ হাতছাড়া করতে চাইবেন না।

ইসলামে আমলটির গুরুত্ব অনেক বেশি। রাসুল (সা.) এর হাদিস বর্ণনার ধরন দেখলেই তা বোঝা যায়। একটু ভিন্ন রকমে ও ভিন্ন আঙ্গিকে প্রিয়নবী (সা.) এ আমলের ফজিলত বর্ণনা করে বলেন, ‘তোমাদের জন্য কি দৈনিক এক হাজার নেকি লাভ করা কঠিন কিছু? তখন এক সাহাবি বললেন, আল্লাহর রাসুল! কী আমলের মাধ্যমে এক হাজার নেকি লাভ করা যাবে? তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘একশ বার সুবহানাল্লাহ বললে এক হাজার নেকি লেখা হবে অথবা (কোনো কোনো বর্ণনায়) এক হাজার গুনাহ মোচন হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৬৯৮; ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৮২৫)

এছাড়াও হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দশ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির... পড়বে বিনিময়ে তার আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব লেখা হবে। দশটি নেকি লেখা হবে। দশটি গুনাহ মাফ হবে। দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং এ কালিমাগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে রক্ষার কারণ হবে। মাগরিবের পর পড়লে অনুরূপ সওয়াব মিলবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান থেকে রক্ষা পাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৩৫১৮)

বিভিন্ন বর্ণনায় রয়েছে, নামাজের বৈঠক থেকে ওঠার আগে, কোনো কথা বলার আগেই এই দোয়া পড়বে। কোনো বর্ণনায় শুধু নামাজের পর পড়ার কথা এসেছে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৭৯৯০)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘...তার আমলনামায় এক নেকি লেখা হবে, একশ গুনাহ মাফ হবে এবং একজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৮৭১৯)

আরেক হাদিসে এসেছে, ইসমাঈল (আ.)-এর বংশধরের একজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। অন্য বর্ণনায় এসেছে, দশজন গোলাম আযাদের সওয়াব পাওয়া যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৭৭; তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৩৪)

বর্ণনার বৈচিত্র ও বিভিন্নতা থাকলেও ফজর এবং মাগরিবের পর এই দোয়া-আমলের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার গুনাহ মাফ করেন। তাকে সওয়াব দিয়ে পুরস্কৃত করেন।