চারিদিকে গুনাহের ছড়াছড়ি। ফলে এখনকার সময়ে গুনাহ হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি কোনো কারণে গুনাহ হয়ে যায়, তাহলে আপনি কী করবেন? ক্ষমার কোনো পথ আছ? এমন চিন্তা হয়তো আপনার মাথায় আসছে। ভাবছেন গুনাহ মাফ কীভাবে করা যেতে পারে।

আমরা গুনাহ করলেও আল্লাহ তাআলা আমাদের আশার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের ওপর জুলুম করছ, তোমার আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল। পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমা, আয়াত : ৫৩)

 গুনাহ হয়ে গেলে তাওবা করুন

একজন মুসলিম যখন গুনাহ করে ফেলে, তখন তার প্রথম কাজ হলো— তওবা করা। তাওবা মানে গুনাহ থেকে প্রত্যাবর্তন করা। আল্লাহর কাছে ফিরে আসা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যদি পাপাচার করতে, এমনকি তোমাদের পাপ আকাশের সীমা পর্যন্ত পৌঁছে যেত, অতঃপর তোমরা তওবা করতে; তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের তওবা কবুল করবেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৪৮)

ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করেন

গুনাহ করে ফেললে— আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে হয়। তাহলে আল্লাহ তাআলা দয়ার মহিমায় ক্ষমা করে দেন। আর গুনাহগার যদি ভালো কোনো কাজ করে, সে কাজগুলো খারাপ আমলগু মিটিয়ে দেয়। আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আর তুমি সালাত কায়েম করো— দিবসের দুই প্রান্তে এবং রাতের প্রথম অংশে। নিশ্চয়ই ভালো কাজ— মন্দ কাজকে মিটিয়ে দেয়। এটি উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য উপদেশ।’ (সুরা হুদ, আয়াত : ১১৪)

দুঃখ-কষ্ট পেলেও গুনাহ ক্ষমা হয়

উম্মুল মুমিনিন মা আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুসলিম ব্যক্তির ওপর যেসব বিপদ-আপদ আসে— এর মাধ্যমে আল্লাহ তার পাপ দূর করে দেন। এমনকি যে কাঁটা তার শরীরে বিদ্ধ হয়— সেটার দ্বারাও। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৪০)

দুই রাকাত নামাজে গুনাহ মাফ

হাদিসে আল্লাহর রাসুল  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যদি কেউ গুনাহ করে ফেলে, তারপর পবিত্রতা অর্জন করে— দুই রাকাত সালাত আদায় করে; আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৭৬)

আসুন গুনাহ হয়ে গেলে হতাশ না হয়ে— পবিত্রতা অর্জন করে দুই রাকাত নামাজ পড়ি। আর তাওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।