জিন্নাহ অ্যান্টার্কটিক স্টেশনকে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের প্রথম নামাজ আদায়ের স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৯১ সালে মহাদেশটিতে চালু হয়েছিল পাকিস্তানের স্থায়ী গবেষণা কেন্দ্র জিন্নাহ অ্যান্টার্কটিক স্টেশন। এখানেই চালু করা হয়েছে মহাদেশটির প্রথম নামাজ আদায়ের স্থান।

পূর্ব অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে অবস্থিত এ স্টেশন দীর্ঘদিন ধরে বৈজ্ঞানিক ও লজিস্টিক ঘাঁটি হিসেবে কাজ করছে। পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফি এ কেন্দ্র পরিচালনা করছে। এখানে সারা বছর হিমবিজ্ঞান, সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান ও জলবায়ু বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করা হয়।

এখানে শীতকালীন অভিযানে অংশ নেওয়া মুসলিম সদস্যরা শুরু থেকেই প্রচণ্ড শীত, অন্ধকার আর বিচ্ছিন্ন পরিবেশের মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় নামাজ আদায় করে আসছেন।

জিন্নাহ অ্যান্টার্কটিক স্টেশনে নির্দিষ্টভাবে নামাজ আদায়ের স্থান চালুর আগে থেকেই সেখানে অভিযানে অংশ নেওয়া মুসলিমরা অস্থায়ীভাবে নামাজ ও ইবাদত পালন করছেন বলে ধারণা করা হয়। তবে নিয়মিত জামাতের নামাজ শুরু হয় এ স্টেশনের ধারাবাহিক কার্যক্রম চালুর পর থেকে।

স্টেশনের মূল আবাসিক ইউনিটে একটি ছোট মুসাল্লা (নামাজের স্থান) স্থাপন করা হয়েছে, যা অ্যান্টার্কটিকার জন্য নির্ধারিত বিশেষ কিবলা দিক অনুসারে মক্কার দিকে মুখ করে রাখা হয়েছে।

অ্যান্টার্কটিক চুক্তি অনুযায়ী, গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে সব ধরনের ধর্মীয় আচার পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। পাকিস্তান সরকার নিশ্চিত করেছে যে স্টেশনটি এখনো সক্রিয় আছে, যেখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণার পাশাপাশি কর্মীদের ধর্মীয় সুবিধাও নিশ্চিত করা হয়।

পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নামে নামকরণ করা হয়েছে এ স্টেশনের।

সূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন