নামাজ শেষে অজুর কোনো অঙ্গ শুকনো ছিল মনে হলে কী করবেন?
অজু শব্দের আভিধানিক অর্থ সৌন্দর্য ও পবিত্রতা। অজু হলো নামাজের চাবি। আর নামাজ জান্নাতের চাবি। অজু ছাড়া নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হয় না। নামাজ আদায় ও কোরআন স্পর্শ করার জন্য অজু আবশ্যক।
এছাড়াও সর্বক্ষণ অজু অবস্থায় থাকা পুণ্য ও সওয়াবের কাজ। পরকালে তা উচ্চমর্যাদার অধিকারী হওয়ার মাধ্যম। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৭৩, তিরমিজি : ৫৫)
বিজ্ঞাপন
শরিয়তের পরিভাষায় অজু হলো মুখমণ্ডল ও হাত-পা পানি দ্বারা ধৌত করা এবং মাথা মাসেহ করা।
অজু করার সময় চারটি ফরজ রয়েছে। তিনটি ধৌত করা আর একটি মাসেহ করা। সেগুলো হলো— ১. পূর্ণ মুখমণ্ডল বা চেহারা একবার ধৌত করা। ২. দুই হাত কনুইসহ একবার ধৌত করা। ৩. মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা।৪. উভয় পা টাখনুসহ একবার ধৌত করা।
বিজ্ঞাপন
যেসব অঙ্গ অজুর মধ্যে ধৌত করা আবশ্যক, সেসব অঙ্গের পুরো অংশে পানি পৌঁছতে হবে। (মুসলিম, হাদিস : ৩৫৯)
অজুতে যেসব অঙ্গ ধোয়া ফরজ, অজুর সময় সেসব অঙ্গের কোনো অংশ যদি সামান্যতমও (সুইয়ের আগার সমান) শুকনা থেকে যায়, যে কারণেই হোক না কেন, তাহলে অজু হবে না।
তবে যদি অজু করার পর (অজু ভঙ্গকারী কোনো কাজ ঘটার আগেই) জানা যায় যে অজুর অঙ্গগুলোর কোনো জায়গা শুকনা রয়ে গিয়েছিল, তাহলে পুনরায় সম্পূর্ণ অজু করার প্রয়োজন নেই। বরং যে জিনিসটি সেই জায়গায় পানি পৌঁছাতে বাধা হয়েছিল তা সরিয়ে শুধু শুকনা অংশটুকু ধুয়ে নিলেই হবে।
আর এ সময়ের মধ্যে কোনো নামাজ পড়লে সেই নামাজগুলো পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব।
এনটি