মৃতের জানাজা পড়ানোর যোগ্য কে?
কোনো মুসলিম মারা গেলে যতদ্রুত সম্ভব জানাজা ও দাফন-কাফন করা জরুরি। রাসুল (সা.) জানাজা, দাফন কাফনে দেরি করতে নিষেধ করেছেন।মহানবী (সা.) স্বীয় জামাতা,হজরত আলী (রা.)-কে উপদেশ দিয়ে বলেন, ‘হে আলী, তিন কাজে দেরি করবে না। সময় হয়ে গেলে নামাজ আদায়ে, জানাজা এসে গেলে জানাজার নামাজ পড়তে এবং কুফু মিলে গেলে বিবাহে বিলম্ব করবে না।’ ((তিরমিজি, হাদিস : ২০৬)
জানাজায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন রাসুল (সা.)। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মৃত ব্যক্তির জানাজার নামাজ আদায় করে, সে এক ‘কিরাত’ পরিমাণ নেকি লাভ করে আর যে ব্যক্তি কোনো মৃত ব্যক্তির জানাজার নামাজ আদায় করে এবং তার দাফনের কাজে অংশগ্রহণ করে, সে দুই ‘কিরাত’ পরিমাণ সওয়াব লাভ করে।”
বিজ্ঞাপন
কোনো এক সাহাবি প্রশ্ন করল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! দুই কিরাত কী?’ নবী করিম (সা.) বললেন, ‘দুই কিরাতের ক্ষুদ্রতম কিরাত ওহুদ পাহাড়ের সমান।’ (ইবনে কাছির)
কেউ মারা গেলে তার জানাজা নামাজ পড়ানোর সবচেয়ে বেশি হকদার মৃতের ওলি (স্বজন) এবং মহল্লার ইমাম। উভয়ে যদি উপস্থিত থাকেন এবং ইমাম ইলম-আমলে মৃতের ওলিদের থেকে বেশি যোগ্য হন তাহলে ইমামই জানাজা পড়ানোর বেশি হকদার। প্রখ্যাত তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, জানাজার নামাজ পড়াবে মসজিদের ইমামগণ।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরো বলেন, তোমরা তাদের পেছনে ফরজ নামাজ পড়তে রাজি। কিন্তু জানাযা পড়তে রাজি না (এটা কেমন কথা)!
আরেক বর্ণনায় এসেছে, তাবেয়ী সালেম রহ., তাউস রহ., কায়েস রহ., মুজাহিদ রহ. এবং আতা রহ. তারা সকলেই ইমাম সাহেবকে জানাযা পড়াতে আগে বাড়িয়ে দিতেন।
অবশ্য মৃতের ওলিরা যদি মহল্লার ইমাম থেকে বেশি যোগ্য ও বড় আলেম হন তাহলে ওলিরাই বেশি হকদার।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬৩
এনটি