হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি যা জানি যদি তোমরা তা জানতে, তবে তোমরা অবশ্যই কম হাসতে ও বেশি কাঁদতে। (বুখারি, হাদিস : ৬০৪১)

এই হাদিসে রাসুল (সা.) কম হাসতে ও বেশি কাঁদার কথা বলেছেন। তিনি বেশি হাসাহাসি পছন্দ করতেন না। বেশি হাসার কারণে অন্তরে উদাসীনতা জন্ম নেয়। এক হাদিসে নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেন, বেশি হাসবে না। কারণ, হাসির আধিক্য অন্তরের মৃত্যু ঘটায়।

একবার তিনি এক হৃদয়গ্রাহী ভাষণে সাহাবিদের উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন, তোমরা যদি জানতে যা আমি জানি, তবে অবশ্যই তোমরা কম হাসতে এবং বেশি কাঁদতে)। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা পাপীদের জন্য কী কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন, কিয়ামতের বিভীষিকা কতটা বেশি এবং হাশরের ময়দানের পরিস্থিতি কত কঠিন হবে— তা আমি যেমন জানি তেমন করে তোমরাও যদি জানতে, তবে অবশ্যই কম হাসতে এবং বেশি কাঁদতে। 

এক বর্ণনায় আছে, (যদি তোমরা এসব জানতে তবে) এরপর তোমাদের কাছে পানাহার ভালো লাগত না। তোমরা বিছানায় ঘুমাতে পারতে না। তোমরা নারীদের থেকে দূরে থাকতে। তোমরা চিৎকার করতে করতে রাস্তাঘাটে বের হয়ে পড়তে।

এই হাদিসের মাধ্যমে প্রিয়নবী (সা.) উম্মতকে পার্থিব জীবনযাপন সম্পর্কে একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আর তাহলো, দুনিয়া আনন্দে মেতে থাকার জায়গা নয়। তা থাকা উচিতও নয়। তার সামনে আখেরাত ও পরকাল আছে। আখেরাতের পরিস্থিতি বড় কঠিন। সেই কঠিন পরিস্থিতির ব্যাপারে চিন্তিত থাকা ও মনে ভয় রাখা উচিত। আল্লাহর কাছে বেশি বেশি কাঁদা উচিত, যেন তিনি আমাদেরকে সেই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেন এবং মুক্তি দেন।

এনটি