প্রতীকী ছবি

বান্দার জীবনে আমল ও সওয়াবের গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন হাদিসে সহজে ও অল্প সময়ে বিপুল সওয়াব লাভের আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। আমলগুলো নিতান্ত সহজ, কিন্তু অজস্র পুণ্য ও অগণিত ফজিলতপূর্ণ। তাই জীবনচলার পথে আমলগুলো নিমিষেই করা যায়।

পাঠকদের জেনে রাখার সুবিধার্থে আমরা এখানে আমরা ৫০টি সহজ আমলের কথা উল্লেখ করছি, যেগুলো করলে আল্লাহ তাআলা বিপুল সওয়াব দান করবেন।

আমল : ০১

প্রত্যেক অজুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করা। এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৩৪)

আমল : ০২

প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুন এতে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে জান্নাতে যেতে পারবেন। (সহিহ নাসায়ি, সিলসিলাহ আস-সহিহাহ, হাদিস : ৯৭২)

আমল : ০৩

প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ০১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুন। এতে আপনার অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১২২৮)

সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পেয়ে যাবেন কেননা দিনে ৩৬০ বার এই তাসবিহগুলো পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া হচ্ছে। (সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদিস : ১৮০৩)

আমল : ০৪

প্রতিরাতে সুরা মুলক পাঠ করুন এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। (সহিহ নাসায়ি, সহিহ তারগিব, হাকিম হাদিস : ৩৮৩৯; সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস : ১১৪০)

আমল : ০৫

রাসুল (সা.)-এর ওপর সকালে ১০ বার ও সন্ধ্যায় ১০ বার দরুদ পড়ুন এতে আপনি নিশ্চিত রাসুল (সা.)-এর সুপারিশ পাবেন। (তাবরানি, সহিহ তারগিব, হাদিস : ৬৫৬)

আমল : ০৬

সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পরলে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দেওয়া হবে। সহিহ আবু দাউদ, হাদিস নং- ৫০৯১। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি 'সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি' পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি : ৩৪৬৪)

আমল : ০৭

সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশী সওয়াব আর কারো হবে না। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৬৯২।

আমল : ০৮

সকালে ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ১০০ বার আল্লাহু আকবার এবং ১০০ বার লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর পাঠ করলে অগণিত সওয়াব হবে। নাসাই, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৬৫১।

আমল : ০৯

বাজারে প্রবেশ করে- (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু য়্যুহয়ি ওয়া য়্যুমিতু ওয়া হুয়া হাইয়ুল লা য়্যামূত, বিয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)পাঠ করুন এতে ১০ লক্ষ পুণ্য হবে, ১০ লক্ষ পাপ মোচন হবে, ১০ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি হবে এবং জান্নাতে আপনার জন্য ১ টি গৃহ নির্মাণ করা হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪২৮,৩৪২৯)

আমল : ১০

বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুন। এতে আল্লাহ তাআলা নিজ জিম্মাদারিতে আপনাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (ইবনু হিব্বান, হাদিস : ৪৯৯; সহিহ তারগিব, হাদিস : ৩১৬)

আমল : ১১

জামাতে ইমামের প্রথম তাকবিরের সঙ্গে ৪০ দিন সালাত আদায় করুন, এতে আপনি নিশ্চিত জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। (তিরমিজি, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস : ৭৪৭; সহিহ তারগিব, হাদিস : ৪০৪)

আমল : ১২

প্রতিমাসের আয়ের একটা অংশ এতিমখানা বা মসজিদ মাদ্রাসা বা গরিব-দুঃখী, বিধবা ও দুস্থদের মাঝে দান করবেন হোক সেটা অতি অল্প এতে আপনি আল্লাহ তাআলার কাছে জিহাদকারীর সমতুল্য হবেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬০০৭)

আমল : ১৩

নারীরা ৪টি কাজ করবেন- ১. ৫ ওয়াক্ত সালাত। ২. রমজানের সিয়াম। ৩. লজ্জাস্থানের হেফাজত। ৪. স্বামীর আনুগত্য করুন এতে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ ইবনু হিব্বান, হাদিস : ৪১৬৩)

আমল : ১৪

মসজিদে ফজরের সলাত আদায় করে বসে দোয়া জিকির পাঠ করুন এবং সূর্য উঠে গেলে ২ রাকাত চাস্তের সলাত আদায় করুন এতে প্রতিদিন নিশ্চিত কবুল ১ টি হজ্জ ও উমরার সওয়াব পাবেন। (তিরমিজি, তারগিব হাদিস : ৪৬১)

আমল : ১৫

প্রতিটি ভালো কাজ ডান দিক দিয়ে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা।

আমল : ১৬

ঘুম থেকে উঠে ঘুমের দোয়া পড়া।

আমল : ১৭

বাথরুমে যেতে দোয়া পড়ে বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা, বের হওয়ার সময় ডান পা দিয়ে বের হয়ে দোয়া পড়া। (প্রসঙ্গত, স্মরণ রাখতে হবেবাথরুমে কোনো দোয়া পড়া যাবে না]

আমল : ১৮

অজুর পূর্বে মিসওয়াক করার অভ্যাস করা। অজুর শুরুতে এবং শেষে হাদিসে বর্ণিত দোয়া পড়া।

আমল : ১৯

ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ডান পা দিয়ে দোয়া পড়ে বের হওয়া এবং প্রবেশের সময়ও ডান পা দিয়ে প্রবেশ করে সালাম দেয়া। যদিও ঘরে কেউ না থাকুক না কেন সালাম দেয়া সুন্নাহ, আল্লাহর হুকুম। যদি ঘরে কেউ নাকে তবে এই সালাম ঘরের ফিরিশতাদের জন্য।

আমল : ২০

মসজিদে ডান পা দিয়ে দরুদ ও দোয়া পড়ে প্রবেশ করে এবং বাম পা দিয়ে দরুদ ও দোয়া পড়ে বের হওয়া।

আমল : ২১

রাস্তার ডানপাশে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। না পারলে ভিন্ন কথা।

আমল : ২২

ফরজ সালাত শেষে হাদিসে বর্ণিত জিকির ও দোয়ার আমল করা। ফজর ও মাগরিবের পর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়া, তিন ক্বুল পড়ে শরীরে ফুঁ দেওয়া ইত্যাদি হাদিসে বর্ণিত আমলগুলো করা।

আমল : ২৩

আজানের জবাব দেওয়া ও আজানের পর হাদিসে বর্ণিত দোয়া পড়া। (হাত উত্তোলন না করে) -চলতে ফিরতে ছোট বড় সকলকে সালাম দেওয়া। সালাম দিয়ে কথা শুরু ও শেষ করা। শুদ্ধভাবে সালাম দেওয়া।

আমল : ২৪

জামা ও জুতা পরার সময় ডান দিক থেকে পরা এবং খোলার সময় বামদিকে আগে খোলা। সম্ভব হলে হাদিসে বর্ণিত দোয়া মুখস্থ করে আমলের অভ্যাস করা।

আমল : ২৫

পানি খাওয়ার সময় ৬টি সুন্নত ভালোভাবে মেনে খাওয়ার চেষ্টা করা।

আমল : ২৬

ভাত বা যেকোনো খাবার খাওয়ার সময় সমতল জায়গায় বসে দস্তরখানা বিছিয়ে বিসমিল্লাহ বলে দোয়া পড়ে খাওয়া। কিছু পরে গেলে তুলে ধুয়ে খাওয়া। খাওয়া শেষে আলহামদুলিল্লাহ্‌ পড়া।

আমল : ২৭

ঘুমানোর আগে সুরা মুলক তিলাওয়াত করা, তিন ক্বুল (ইখলাস, ফালাক্ব, নাস) পড়ে তিনবার শরীর দম করা, ঘুমের দোয়া পড়া, আয়াতুল কুরসি পড়া, সুরা কাফিরুন পড়ে ডান কাত হয়ে শোয়া।

আমল : ২৮

ঘুমের মাঝখানে কোন খারাপ স্বপ্ন দেখলে উঠে বামপাশে তিনবার থু থু ফেলা এবং আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজিম পড়ে আল্লাহর কাছে শয়তানের হাত থেকে পানাহ চাওয়া।

আমল : ২৯

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। হাদিসে আছে, ‘কেউ যদি চায় যে তার মূলধন বৃদ্ধি করা হোক এবং বয়স দীর্ঘ করা হোক, তবে তাকে বল সে যেন আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ (বুখারি, মুসলিম)

আমল : ৩০

২টি পবিত্র হারামে (মক্কা ও মদিনা) সলাত পড়া। ‘আমার এই মাসজিদে সলাত পড়া অন্য কোথাও ১ হাজার বার সলাত পড়ার চেয়েও উত্তম, শুধুমাত্র মাসজিদুল হারাম ছাড়া এবং মসজিদুল হারাম এ সলাত পড়া অন্য কোথাও একশ হাজার বার সলাত পড়ার চেয়ে উত্তম।’ (আহমাদ, ইব্ন মাজাহ)

আমল : ৩১

জামা’আতে সলাত পড়া। হাদিসে আছে, ‘জামাআতে সলাত পড়া একাকী সলাত পড়ার চাইতে ২৭ গুন বেশি মর্যাদার।’ (বুখারি, মুসলিম)

আমল : ৩২

ইশা এবং ফজর জামাআতে পড়া। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ইশার সলাত জামা’আতে পড়ল সে যেন অর্ধেক রাত ইবাদাত করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামা’আতে পড়ল সে যেন পুরো রাত ইবাদাত করল।’ (মুসলিম)

আমল : ৩৩

নফল সলাত বাসায় পড়া। ‘ফরজ সলাত ছাড়া মানুষের সলাতের মধ্যে সেই সলাত উৎকৃষ্ট, যা সে ঘরে পড়ে।’ (বুখারি, মুসলিম)

আমল : ৩৪

জুমার দিনের ইবাদাতগুলো পালন করা। ‘যে জুমার দিনে গোসল করে, তারপর প্রথম খুৎবার পূর্বেই উপস্থিত থাকে, পায়ে হেটেঁ আসে, ইমামের কাছে বসে এবং মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শুনে ও কোন কথা না বলে -- তাহলে প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে একবছর সলাত পড়া ও রোজা রাখার সমান সওয়াব পাবে।’’ (আহল-আস-সুনান) হজরত আউস ইবনে আউস আস্সাকাফি (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, 'যে ব্যক্তি জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করবে, অতঃপর কোনো রকম যানবাহনে না চড়ে হেঁটে আগে আগে মসজিদে যাবে, ইমামের নিকটবর্তী বসবে, চুপ থাকবে এবং অনর্থক কথা বলা থেকে বিরত থাকবে, তবে তার জন্য বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্ত প্রতি কদমে এক বছরের রোজা ও কিয়ামুল লাইলের সওয়াব লেখা হবে। (আবু দাউদ : ৩৪৫)

আমল : ৩৫

দোহার (ইশরাক) সলাত পড়া। হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামা’আতের সাথে পড়ে, তারপর সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত আল্লাহর যিকর করে, তারপর দু’ রাকাআত সলাত পড়ে, সে যেন হজ এবং ওমরাহর সওয়াব পূর্ণ করল। [রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একথাটি ৩বার জোড়ে জোড়ে পুনরাবৃত্তি করলেন।] (তিরমিজি)

আমল : ৩৬

ইলমের জন্য মাসজিদে যাওয়া। হাদিসে আছে, ‘যে দুনিয়াবি কোন কারন ছাড়া দ্বীনি ইলম শিখা বা শিখানোর উদ্দেশ্যে মাসজিদে যায়, সে ওই ব্যক্তির মত যে তার হজ পূর্ণ করেছে।’’ [আত তাবারানি]

আমল : ৩৭

রমজানে ওমরাহ পালন করা। ‘রমজানে ওমরাহ করা আমার সাথে হজ করার সমান।’ (বুখারি)

আমল : ৩৮

মসজিদে ফরজ সলাত আদায় করা। ‘যে ব্যক্তি নিজের গৃহ থেকে পবিত্রতা অর্জন করে (অজু ও প্রয়োজনে গোসলও করে) আল্লাহর গৃহের মধ্য থেকে কোন একটি গৃহের দিকে যায়, আল্লাহর ফরজের মধ্য থেকে কোন একটি ফরজ আদায় করার উদ্দেশ্যে, তার একটি পদক্ষেপে একটি গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং অন্য পদক্ষেপটি তার একটি মর্যাদা উন্নত করে।’ (মুসলিম)

আমল : ৩৯

জামাতে প্রথম সারিতে দাড়ানোর চেষ্টা করা। ‘রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম সারির জন্য ৩ বার এবং দ্বিতীয় সারির জন্য ১ বার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।’ (আন নাসায়ি, ইবন মাজাহ)

আমল : ৪০

মদিনার মাসজিদে কুবায় সলাত পড়া। ‘যে ব্যক্তি ঘর থেকে নিজেকে পবিত্র করে, তারপর মাসজিদুল কু’বায় আসে এবং সলাত পড়ে, সে যেন ওমরাহর সওয়াব পেল।’ (আন নাসায়ি, ইবন মাজাহ]

আমল : ৪১

আজানের জবাব দেওয়া। ‘যখন তোমরা আযান শুনতে পাও তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তার পুনরাবৃত্তি করে যাও। যখন আজান শেষ হয় তখন (দোয়া )চাও, তোমাকে দেওয়া হবে।’ (আবু দাউদ, আন-নাসায়ি)

আমল : ৪২

রমজানের এবং শাওয়ালের রোজা রাখা। ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, তারপর শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখলো সে যেন এক বছর রোজা রাখল।’ (মুসলিম)

আমল : ৪৩

প্রত্যেক মাসে ৩টি রোজা রাখা। হাদিসে বলঅ হয়েছে, ‘প্রত্যেক মাসে ৩টি রোজা রাখা সারা বছর রোজা রাখার সমান।’ (বুখারি, মুসলিম)

আমল : ৪৪

রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতারি করানো। ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় সে তার (রোজাদার) সমান প্রতিদান পায়, কিন্তু এর ফলে রোজাদারের প্রতিদানের মধ্যে কোন কমতি হবে না।’ (তিরমিজি, ইবন মাজাহ)

আমল : ৪৫

লাইলাতুল ক্বদরে ইবাদাত করা। ‘মর্যাদাপূর্ণ এ রাতটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা কদর, আয়াত : ০৩)

আমল : ৪৬

জিহাদ করা। ‘একজন ব্যক্তির আল্লাহর পথে জিহাদের সারিতে দাঁড়ানো, ৬০ বছর ইবাদাতের চেয়েও উত্তম।’ (আল-হাকিম)

আমল : ৪৭

রিবাত (রাত জেগে ইবাদাত করা)। ‘একদিন ও একরাত স্বদেশের (মুসলিম দেশের সীমান্ত, যেখানে শত্রুর হামলার আশংখা আছে) সীমান্ত পাহারা দেয়া এক মাস ধরে রোজা রাখা ও রাতে ইবাদাত করার চাইতে বেশী মূল্যবান। এ অবস্থায় যদি সে মারা যায় তাহলে যে কাজ সে করে যাচ্ছিল, মারা যাবার পরও তা তার জন্য জারী থাকবে। তার রিযকও জারী থাকবে এবং কবরের পরীক্ষা থেকেও সে থাকবে সুরক্ষিত।’ (মুসলিম)

আমল : ৪৮

জিলহজের প্রথম ১০ দিন বেশি বেশি ইবাদাত করা। ‘এমন কোন দিন নেই যেদিনে কৃত আমল এসব দিন অর্থাৎ যুল হিজ্জা এর প্রথম ১০দিনের নেক আমলের মত আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ! আল্লাহর পথে জিহাদের মত (নেকি) আমল ও কি নয়?’’ তিনি বললেন, ‘না, আল্লাহর পথে জিহাদের মত (নেকি) আমলও নয়। তবে যে ব্যক্তি তাদের জান ও মাল নিয়ে আল্লাহর পথে বের হল এবং এর কোনটা নিয়েই আর ফিরে আসল না সে ছাড়া।’ (বুখারি)

আমল : ৪৯

কোরআনের সূরা গুলো বার বার তিলাওয়াত করা। ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ কুরআনের এক তৃতীয়াংশ এবং ‘ক্বুল ইয়া আইযুহাল কাফিরুন’ কুরআনের চার ভাগের এক ভাগ।’ (আত তাবারানি)

আমল : ৫০

ইসতিগফার করা। ‘যে ব্যক্তি ঈমানদার নারী পুরুষের জন্য ইসতিগফার করে, আলাহ প্রত্যেকের জন্য ১টি করে নেক আমল লিখে দেন।’ (রিয়াদুস সালেহিন)