প্রতীকী ছবি

পবিত্রতা অর্জনের জন্য অজু করা হয়। অজুর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টিও লাভ হয়। এছাড়াও নামাজ আদায়ের জন্য অবশ্যই অজু করতে হয়। অজু না থাকলে নামাজ হয় না। আবার কিছু সময় অজু করা ফরজ, আবার কিছু সময় ওয়াজিব। কখন ফরজ ও ওয়াজিব, সেগুলো আমরা আগে উল্লেখ করেছি।

আজকে উল্লেখ করা হবে- যেসব সময় অজু করা মুস্তাহাব। আর এই সময়ে ও এই কারণে অজু করলে আল্লাহ তাআলা সওয়াব দান করেন।

♦ পবিত্রতার সঙ্গে ঘুমানোর জন্য। (বুখারি, হাদিস : ২৩৯) ♦ ঘুম থেকে জাগ্রত হলে। তখন শুধু মুস্তাহাবই নয়, বরং সুন্নাত (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ৫৮৫) ♦ সব সময় অজু অবস্থায় থাকার জন্য। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৭৩) ♦ সাওয়াবের নিয়তে অজু থাকা অবস্থায় অজু করা। ♦ গিবত ও মিথ্যা কথার আশ্রয় নেওয়ার পর। (মুসলি, হাদিস : ৩৬০)

আরও পড়ুন : অজুর যেসব মাসআলা জেনে রাখা জরুরি

♦ মন্দ ও অশ্লীল কবিতা পাঠের পর। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/১৩৫) ♦ নামাজ ছাড়া অন্য অবস্থায় অট্টহাসি দেওয়ার পর। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৯৩০১) তবে নামাজে অট্টহাসি দিলে অজু ভেঙে যায়। (দারাকুতনি, হাদিস : ৬১৫) ♦ মৃতকে গোসল দেওয়ার পর। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ১৫১৬) ♦ মৃতের লাশ ওঠানোর জন্য। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ১৫০৩) ♦ প্রতি নামাজের জন্য নতুন অজু করা। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৭৫০৪, বুখারি, হাদিস : ২০৭)

♦ ফরজ গোসল করার আগে। (বুখারি, হাদিস : ২৪০) ♦ গোসল ফরজ হয়েছে, এমন ব্যক্তির খাওয়া, পান করা ও ঘুমানোর আগে। (মুসলিম, হাদিস : ৪৬১) ♦ রাগের সময়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১৫২) ♦ কোরআন তিলাওয়াতের সময়। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ৪৩৫) ♦ হাদিস পড়া ও বর্ণনা করার সময়। (আদাবুল উলামা ওয়াল মুতাআল্লিমিনি : ১/৬)

আরও পড়ুন : অজুর দোয়া ও আমল

♦ ইসলামী জ্ঞান অর্জনের সময়। (তিরমিজি, হাদিস : ২৭২৩) ♦ আজান দেওয়ার সময়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/২১১) ♦ ইকামত দেওয়ার সময়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/২১১) ♦ খুতবা দেওয়ার সময়। (তিরমিজি, হাদিস : ২৭২৩) ♦ মহানবী (সা.)-এর কবর জিয়ারতের সময়। (সুরা : নিসা, আয়াত : ৬৪) ♦ ওকুফে আরাফা তথা আরাফায় থাকা অবস্থায়। (বুখারি, হাদিস : ১৪২৪) ♦ সাফা ও মারওয়ায় সায়ি করার সময়। (বুখারি, হাদিস : ১৫১০)