ছবি : সংগৃহীত

অজুর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টিও লাভ হয়। নামাজ আদায়ের জন্যও অজু করতে হয়। অজু না থাকলে নামাজ হয় না। তাই নামাজের জন্য অজু আবশ্যক। কিন্তু নামাজ ছাড়াও আর কী কী কারণে ও কী সব কাজের জন্য অজু করতে হয়?

যেসব কারণে অজু করতে হয়, সেসব বিষয় নিয়ে অতি সংক্ষেপে আলোচনা। প্রথমত জেনে রাখা উচিত, অজু তিন প্রকার। এক. ফরজ, 
দুই. ওয়াজিব ও তিন. মুস্তাহাব।

অজু করা কখন ফরজ?

এর উত্তর হলো- অজু না থাকা ব্যক্তির জন্য চারটি অবস্থার যেকোনো একটিতে অজু করা ফরজ। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ্য—

♦ যেকোনো নামাজ আদায়ের জন্য। ফরজ, ওয়াজিব কিংবা নফল নামাজ। (বুখারি, হাদিস : ১৩২)

♦ জানাজার নামাজ পড়পার জন্য। অবশ্য জেনে রাখা উচিত, জানাজা দোয়া। মৌলিক কোনো নামাজ নয়। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ৪৩৫)

♦ সিজদায়ে তিলাওয়াতের জন্য। অর্থাৎ কোরআনের যেসব নির্দিষ্ট আয়াত তেলাওয়াত করলে বা শুনলে সিজদা দেওয়া ওয়াজিব, সেই সিজদা আদায়ের জন্য অজু করা। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ৪৩৫)

♦ পবিত্র কোরআন স্পর্শ করার জন্য। অনুরূপভাবে অজু ছাড়া ব্যক্তি যদি পবিত্র কোরআনের আয়াত-লিখিত— দেয়াল, কাগজ, টাকা ও অন্যান্য যেসব কিছু-ই ছুঁতে চাইবে, তার জন্য অজু করা ফরজ। (সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত : ৭৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/১১৩)

যখন অজু করা ওয়াজিব

আল্লাহর ঘর পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করার জন্য অজু করা ওয়াজিব। কেবল এই কাজের জন্যই অজু করা ওয়াজিব। (তিরমিজি, হাদিস : ৮৮৩)

অজু করা কখন মুস্তাহাব

মুস্তাহাব মানে প্রশংসনীয়। তাই যেকোনো কাজে অজু করা মুস্তাহাব। তবে এই বিষয়টি কিংবা এই বিষয়ের তালিকা অনেক দীর্ঘ। পরবর্তী কোনো লেখায় আমরা সেগুলো জানানোর চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।