প্রতীকী ছবি

জীবনের প্রতিটি বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা রয়েছে। সে সুবাদে স্বপ্ন সম্পর্কেও রয়েছে ইসলামের বক্তব্য। রয়েছে চমৎকার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। এ বক্তব্য ও ব্যাখ্যা কোনো দার্শনিক কিংবা বিজ্ঞানীর বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া জরুরি নয়। আবার কখনো মিলে গেলে কোনো অসুবিধা নেই।

বলার অপেক্ষা রাখে না যে, স্বপ্ন দেখা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘুমের ঘোরে প্রতিটি মানুষ স্বপ্ন দেখে। মানুষের ভাবনা ও মননে যেমন বৈচিত্র্য রয়েছে, তেমনি মানুষের দেখা স্বপ্নেও রয়েছে ভিন্নতা। মানুষ ভালো স্বপ্ন দেখে যেমন সুখানুভব করে, তেমনি ভয়ংকর বা দুঃস্বপ্ন দেখে নিদারুণ বিমর্ষও হয়।

স্বপ্ন নিয়ে মিথ্যা বড়-ই খারাপ কাজ

সুন্দর স্বপ্ন মানুষকে হয়তো আনন্দ দেয়। কিন্তু দুঃস্বপ্ন মানুষকে ভাবনাতুর ও অস্থির করে রাখে। আবার স্বপ্ন কখনো সত্য হয়, কখনো মিথ্যা হয়। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সত্য স্বপ্ন নবুয়তের ৪৬ ভাগের এক ভাগ।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭২)

আরও পড়ুন : যে আমলে সারা রাত ইবাদতের সওয়াব

স্বপ্ন দেখলে অনেকে কাছের-দূরের মানুষকে বলে বেড়ায়। এটা মানুষের সহজাত স্বভাব। তবে অনেকে অন্যকে খুশি করতে রং মাখিয়ে স্বপ্নের বর্ণনা দেয়। অথচ রাসুল (সা.) হাদিসে সতর্ক করে বলেছেন— 

দুঃস্বপ্ন দেখলে যে দোয়া পড়বেন

স্বপ্ন মানুষকে কখনো আনন্দিত ও আমোদিত করে। আবার কখনো তাকে ব্যথিত ও ভীতসন্ত্রস্ত করে। যদি কেউ ভীতি-জাগানিয়া স্বপ্ন দেখে, তাহলে তার কয়েকটি করণীয়। হাদিসে এসব কাজ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে–

এক. স্বপ্নের অনিষ্ট ও ক্ষতি থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। তিনবার ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়া। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)

খারাপ স্বপ্ন থেকে বাঁচার দোয়া

এ ক্ষেত্রে হাদিসে একটি দোয়া বর্ণিত হয়েছ। দোয়াটি হলো– ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন শাররি হাজিহির রু’ইয়া।’ অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এই ভয়ংকর স্বপ্নের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

দুই. শরীরের বাঁ দিক করে তিনবার (বাতাসে আদ্র ধরনের) থুথু  নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬১)

তিন. যে কাত হয়ে ঘুমিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেছে, সে কাত পরিবর্তন করে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে শোবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২) অবস্থা বদলে দেওয়ার ইঙ্গিতস্বরূপ এটা করা হয়ে থাকে।

চার. খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারও কাছে বলবে না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করবে না। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)

পাঁচ. নামাজ পড়বে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬৩)