প্রতীকী ছবি

ফজরের ফরজ নামাজ যদি কারও কাজা হয়ে যায়, তাহলে কি সুন্নতসহ চার রাকাত পড়তে হবে? নাকি কেবল ফরজ দুই রাকাত আদায় করলেই চলবে?

এই প্রশ্নের উত্তর হলো- প্রথমত আমরা বলব, কখনো নামাজ কাজা করা উচিত নয়। কারণ, আল্লাহ তাআলার বিধানের প্রতি অলসতা প্রদর্শন বান্দার পক্ষ হতে কোনোভাবেই কাম্য নয়। যদি কখনো বড় ধরনের কোনো সমস্যার কারণে নামাজ কাজা হয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কিন্তু প্রায় সময় যদি অলসতা ও অবহেলার কারণে ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যায়, তাহলে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।

ফজরের আল্লাহ তাআলা আমাদের ডেকেছেন, তাই আমাদের উঠতেই হবে। যদি আজ রাত একটা বা দুইটায় যদি বিদেশ গমনের ফ্লাইট থাকে, তাহলে আমার ঘুম যত কাঁচাই হোক না কেন— আমি ঘুম হতে উঠব-ই। কারণ, আমি জানি যদি আমি ঘুম হতে না উঠি, আর আমার ফ্লাইট মিস হয়ে যায়; তাহলে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ব। অনুরূপ আমি যদি মন থেকে বিশ্বাস করি যে, এ ফজরের নামাজ মিস হয়ে গেলে— আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হব। এই রকম যদি চিন্তা করতে পারি, তাহলে আমার মাধ্যমে কখনোই ফজরের নামাজ মিস হবে না ইনশাআল্লাহ। এ জন্য একজন মুমিনের কখনোই ফজরের নামাজ বারবার কাজা হতে পারে না। এরপরও যদি কারও কখনো কোনো অসুবিধার কারণে ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যায়, তাহলে সূর্য উদিত হওয়ার পরপরই দুই রাকাত দুই রাকাত করে— মোট চার রাকাত নামাজ আদায় করে নেওয়া উচিত। অর্থাৎ দুই রাকাত সুন্নত, আর দুই রাকাত ফরজ।

ফিকহের কিতাবে রয়েছে, ছুটে যাওয়া ফজরের নামাজ যদি ওইদিন জোহরের ওয়াক্ত শুর হওয়ার পূর্বেই তথা দ্বিপ্রহরের পূর্বেই কাজা করা হয়, তাহলে দুই রাকাত দুই রাকাত করে— মোট চার রাকাত পড়তে হবে। আর যদি জেহরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যাওয়ার পর কাজা করা হয়, তাহলে শুধু দুই রাকাত ফরজ পড়তে হবে। সুন্নত পড়ার দরকার নেই।

(সূত্র : সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৪২৩; আল-মাবসুত, সারাখসি : ১/১৬১)