প্রতীকী ছবি

অনেক সময় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু অসুস্থ হলেও নামাজ আদায় করতে হয়। তবে অসুস্থতার পরিমাণ যদি তীব্র হয় এবং অসহ্যকর হয়, তখন কেউ কেউ মূর্ছা যায়। জ্ঞান হারিয়ে অবচেতন হয়ে থাকে। এখন জানার বিষয় হলো- অজ্ঞান অবস্থায় কেউ নামাজ না পড়ার দরুন যেসব ওয়াক্ত কাজা হয়েছে সেগুলোর কাজা আদায় করতে হবে কিনা?

এছাড়াও একজন ভাই প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন, কয়েকদিন আগে আমি এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছি। তখন সাথেসাথে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসার মাধ্যমে দুই দিন পরে জ্ঞান ফিরে আসে। তখন আমার ১০ ওয়াক্তের নামাজ ছুটে গেছে। জানার বিষয় হলো- অজ্ঞান থাকা অবস্থায় যে ১০ ওয়াক্ত নামাজ আমার ছুটে গেছে, সেগুলো কি কাজা করতে হবে?

এর উত্তর হলো- এই নামাজগুলোর কাজা আদায় করতে হবে না। কেননা অজ্ঞান অবস্থায় লাগাতার ৬ ওয়াক্ত কিংবা তার চেয়ে বেশি নামাজ ছুটে গেলে— তা কাজা করতে হয় না। নাফে (রাহ.) থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) দুই দিন অজ্ঞান ছিলেন, কিন্তু ওই সময়ের নামাজ কাজা করেননি। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ৬৬৬২)

আরও পড়ুন : নামাজে প্রস্রাবের চাপ এলে যা করবেন

যতটুকু হলে নামাজ কাজা করবে

ইবরাহিম নাখায়ি (রহ.) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন- ‘এক দিন এক রাত অজ্ঞান থাকলে, নামাজ কাজা করবে। এর চেয়ে বেশি হলে কাজা করবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ৬৬৫৪)

তথ্যসূত্র : কিতাবুল আছল : ১/১৯০; আলমাবসুত, সারাখসি : ১/২১৭; বাদায়িউস সানায়ি : ১/২৮৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১২১; আলবাহরুর রায়িক : ২/৭৯; হাশিয়াতুত তাহতাভি : আলাল মারাকি, পৃষ্ঠা : ২৩৭