প্রতীকী ছবি

সফরে গেলে কসর নামাজ পড়তে হয়। কিন্তু কসর নামাজ যদি কাজা হয়ে যায়, তাহলে সেই কসর নামাজ কাজা করতে হবে। অর্থাৎ সফর অবস্থায় কোনো নামাজ কাজা হলে পরবর্তীতে বাসা-বাড়িতে এসে বা মুকিম হয়ে (সফরে না থাকা) সেই নামাজ আদায় করতে হলে— কসর নামাজ-ই পড়তে হবে।

অনুরূপভাবে সফরে গিয়ে মুকিম অবস্থার কোনো নামাজের কাজা আদায় করতে গেলে— পুরো নামাজ-ই কাজা করতে হবে। (ফাতাওয়া দারুল উলুম, খণ্ড : ০৪, পৃষ্ঠা : ৪৫২; ফাতাওয়া শামি, খণ্ড : ০২, পৃষ্ঠা : ১৩৫)

কেউ তিনদিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে— মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে, সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরিয়তের বিধি-বিধানে পরিবর্তন আসে। অর্থাৎ মানুষ মুসাফির হয়— তিনদিনের দূরত্বের সফরে গেলে। এটাই বিশুদ্ধ মত। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ০১/১৩৮)

আরও পড়ুন : বিমানে নামাজ পড়বেন যেভাবে

তিনদিনের দূরত্বকে ফিকাহ বিশারদরা ৭৭ কিলোর সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন। তাই বর্তমানে কেউ ৭৭ কিলো সমপরিমাণ সফর করলে— সে শরয়ি দৃষ্টিতে মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে। আর মুসাফিরের নামাজ কসর বা অর্ধেক করে পড়তে হয়। অর্থাৎ চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাকাত পড়তে হবে। দুই রাকাত ও তিন রাকাত বিশিষ্ট নামাজের কোনো কসর নেই। তাই দুই রাকাত এবং তিন রাকাত-ই পড়তে হবে।

সুন্নত নামাজগুলোতে কসরের বিধান প্রযোজ্য নয়। ফলে সুন্নত পড়লে সম্পূর্ণই পড়তে হবে। তবে মুসাফির ব্যক্তির জন্য চলন্ত অবস্থায় বা তাড়াহুড়া থাকলে— ফজরের সুন্নত ছাড়া অন্যান্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা না পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক ও স্থির অবস্থায় সুন্নত নামাজ আদায় করবে। (ইলাউস সুনান: ৭/১৯১; রাদ্দুল মুহতার : ১/৭৪২; ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ : ৭/৫১৭)

আরও পড়ুন : ভ্রমণে নিরাপদ থাকার দোয়া

মূলত সফর অবস্থায় তাড়াহুড়া ও ব্যস্ততার সময় সুন্নত না পড়ার অবকাশ আছে। আর গন্তব্যে পৌঁছার পর সুন্নত নামাজ পড়া উত্তম। বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল (সা.)-সফরের সময় সুন্নত পড়েছেন। সুন্নত পড়লে পুরোটাই পড়বে, কেননা সুন্নত নামাজের কসর হয় না। (তিরমিজি, হাদিস : ১/৭২)