অজুর বিশেষ মাসআলাগুলো জেনে রাখুন
ছবি : সংগৃহীত
অজু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। অজু ছাড়া নামাজ হয় না। অজু ছাড়া কোরআন শরিফ স্পর্শ করাও জায়েজ নেই। তাই অজু করার নিয়ম-পদ্ধতি ও অজুর বিভিন্ন মাসআলা জেনে রাখা আবশ্যক।
এখানে অজুর বিশেষ কিছু মাসআলা উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলো অনেক সময় যারা অজু করেন, তারা অজুর সময় খেয়াল রাখেন না। মাসআলাগুলো হলো-
বিজ্ঞাপন
এক. নখে এমন কোনো বস্তু লেগে থাকলে যার কারণে নখ পর্যন্ত পানি পৌঁছতে পারবে না, যেমন— মোম, আঠা ইত্যাদি তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করে এমনভাবে ধৌত করতে হবে, যেন সর্বাঙ্গে পানি পৌঁছে। (সুনানে কুবরা, হাদিস : ৩৬৭)
দুই. নখের ময়লা ইত্যাদি চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে প্রতিবন্ধক হয় না। (মজমাউজ জাওয়ায়েদ : ১/২৩৮) অর্থাৎ ময়লা যদি এমন মিহি হয়, যার ভেতর দিয়ে পানি পৌঁছা সম্ভব, এমন অবস্থায় যতক্ষণ পর্যন্ত সেখানে পানি পৌঁছা সুনিশ্চিত হয়, ততক্ষণ সন্দেহ না করা ভালো।
বিজ্ঞাপন
তিন. সংকীর্ণ আংটিকে যদি নাড়াচড়া করা ছাড়া ভেতরে পানি না পৌঁছে, তাহলে তা নাড়াচড়া করতে হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪৪৩)
চার. যদি দাড়ি ঘন হয়, তাহলে ঝুলে থাকা পশম ছাড়া দাড়ির উপরিভাগ ধৌত করা ওয়াজিব। (আসার : ১/২০)
পাঁচ. দাড়ি পাতলা হলে দাড়ির ওপরের ভাগ ধৌত করলে হবে না। বরং দাড়ির ভেতরে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছাতে হবে। (ইবনে আবি শায়বা : ১/১৪)
ছয়. দাড়ির ঝুলে থাকা পশমগুলো ধোয়া ও মাসেহ করা ওয়াজিব নয়। (ইবনে আবি শায়বা : ১/১৪)
সাত. ক্ষত স্থানে ধোয়ার কারণে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হয়, তাহলে ক্ষতস্থানে লাগানো ওষুধের ওপর মসেহ করলেই হবে। (সুনানে কুবরা : ১১২৯)
আট. অজুতে মাথা মাসেহ করার পর যদি কেউ চুল চেঁছে ফেলে, তাহলে পুনরায় মাসেহ করতে হবে না। (আল ফিকহুল ইসলামী : ১/৩৮৪)
নয়. অজু করার পর যদি কেউ নখ কাটে বা মোছ চেঁছে ফেলে, তাহলে পুনরায় সেগুলো ধৌত করতে হবে না। (বুখারি : ১/৩০১)