কবর জিয়ারতে গেলে মানুষের হৃদয়-প্রাণ বিনম্র হয়ে ওঠে। প্রিয় কারো কবরের পাশে গেলে, অজান্তেই চোখযুগল অশ্রুসিক্ত হতে পারে। মনো-ব্যথায় চোখে পানি চলে আসা কিংবা কান্না পাওয়া স্বাভাবিক। তবে সেখানে গিয়ে বিলাপ ও হায়-হুতাশ করা ঠিক নয়।

নারীদের কবর জিয়ারতের ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা এই আশঙ্কার কারণেই। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেন, একবার রাসুল (সা.) তার আম্মাজানের কবর জিয়ারত করার জন্য গমন করেন। এ সময় রাসুল (সা.) কাঁদেন এবং তাঁর সঙ্গীরাও কাঁদে। এরপর রাসুল (সা.) বলেন—

আমি আমার প্রতিপালকের কাছে আমার মায়ের কবর জিয়ারত করতে চাইলে তিনি অনুমতি দিয়েছেন। কাজেই তোমরা কবর জিয়ারত করবে। কেননা তা মৃত্যুকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৩২৩৪)

কবরের কাছে গিয়ে যা করা নিষেধ
কবরের কাছে গিয়ে কিছু কাজ করা নিষেধ। যেমন- কবরবাসীর কাছে কিছু কামনা করা। নামাজ আদায় করা বা সিজদা করা। তার অসিলায় মুক্তি প্রার্থনা করা। সেখানে দান-সদকা ও মানত করা। গরু-ছাগল ও মোরগ ইত্যাদি দেওয়া। কিংবা কোরবানি ইত্যাদি করা। এসব কিছু শিরকের অন্তর্ভুক্ত। তাই কোনো কবর ঘিরে এমনটি করা কোনোভাবেই অনুমোদিত নয়।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন— 

রাসুল (সা.) নারী কবর জিয়ারতকারী, তার ওপর মসজিদ নির্মাণকারী ও তাতে বাতি প্রজ্বালনকারীদের অভিশাপ দিয়েছেন।

(আবু দাউদ, হাদিস : ৩২৩৬)

যেদিন কবর জিয়ারত উত্তম
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি জুমায় তার মা-বাবা বা তাদের একজনের কবর জিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারীদের মধ্যে গণ্য করা হবে। (আল মুজামুল আউসাত, হাদিস : ৬১১৪)