এবার মেসির আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ নিয়েই ফিরবে
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই বিশ্বকাপ ফুটবলের মহারণ। আজ রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ফাইনালে খেলবে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স।
বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সমর্থক। একদিকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। অপরদিকে প্রিয় দল আর্জেন্টিনা ফাইনালে ওঠায় উচ্ছ্বসিত সমর্থকেরা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ফাইনালকে কেন্দ্র করে ম্যাচ শুরুর আগেই উৎসবের আমেজ দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে। তাই বিকেল থেকেই বাড়ছে টিএসসির বড় পর্দার আশেপাশে সমর্থকদের উপস্থিতি। দলবেঁধে আর্জেন্টিনার জার্সি পরে চলছে সমর্থকদের ফটোসেশন আর আড্ডা। এছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলগুলোও সেজেছে প্রিয় দলের পতাকায়।
সমর্থকরা বলছেন, ফ্রান্সকে রুখে দেওয়ার মতো সব সামর্থ্যই আছে আর্জেন্টিনার। তাই সৌদি আরবের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা দলটি ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে যাচ্ছে। আর সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ফাইনালে শেষ হাসি হাসবেন মেসির দল আর্জেন্টিনা। সব ধরণের আক্ষেপ পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েই ঘরে ফিরবে তারা।
বিজ্ঞাপন
আর্জেন্টিনার সমর্থক ঢাবি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জিয়াউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেসির ঝুড়িতে কোপা আমেরিকা কাপ, ফাইনালিসিমাসহ বিভিন্ন ক্লাব ট্রফি এবং বর্ষসেরা ব্যালন ডি অর আছে। কিন্তু তার একটা অপূর্ণতা যেন রয়েই গেছে। যা দলের জন্য একটি বিশ্বকাপ ট্রফি। আশা করি মেসি এবং তার দল আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপ নিয়েই ফিরবে।
আরেক আর্জেন্টিনা সমর্থক তানি তামান্না বলেন, আর্জেন্টিনা সাপোর্টারেরা ছাড়াও সারাবিশ্বের ফুটবলপ্রেমী মানুষেরা মেসির নান্দনিক এবং শৈল্পিক পায়ের যাদুতে মুগ্ধ। তারা নিশ্চয়ই এবারের বিশ্বকাপের ট্রফিটি মেসির হাতে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন। টিম আর্জেন্টিনা এবার অনেক পরিণত, অনেক নিবেদিত। টিমে অনেক মেধাবী ইয়াংস্টারসহ মেসি দুর্দান্ত ফর্মে আছে। যদিও ফ্রান্স যোগ্য প্রতিপক্ষ তবে আর্জেন্টিনা জিতবে এ ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী।
এদিকে আর্জেন্টিনার আরেক সমর্থক শেখ মোহাম্মদ আরমান বলেন, জীবনে যতদিন বাঁচি আর্জেন্টিনার হাতে ট্রফি না দেখলেও কোনো দুঃখ থাকবে না, শুধু কাতার বিশ্বকাপটা মেসির হাতে দেখতে চাই।
এইচআর/এফকে