শ্রীলঙ্কা ১৭১-৭ (হাসরাঙ্গা ৭১, নিশাঙ্কা ৬১; লিটল ৪-২৩)
আয়ারল্যান্ড ১০১ (বালবার্নি ৪১; থিকশানা ৩-১৭)
ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৭০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: ভানিন্দু হাসরাঙ্গা

প্রথম ম্যাচেও এমনটা ঘটেছিল, নামিবিয়ার দেওয়া মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেটা ঘটল আজও। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ আবার শুরুতে ব্যাট করছিল লঙ্কানরা। ৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে পড়ে গিয়েছিল বিপদেই। সে বিপদ কাটিয়ে লঙ্কানরা পরে ম্যাচে ফিরেছে, ৭০ রানের দাপুটে এক জয় নিয়ে নিশ্চিত করে ফেলেছে সুপার টুয়েলভে উত্তরণও। 

দাপুটে বললেও কোচ মিকি আর্থার, আর তার স্টাফদের জন্য যে স্বস্তি বয়ে আনবে না, তা বলাই বাহুল্য। টানা দুই ম্যাচেই যে দলের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে! ফিল্ডিংও ছিল তথৈবচ। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেটাই যথেষ্ট থেকেও বেশি প্রমাণিত হয়েছে আজ। 

শুরুতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে লঙ্কানরা। সেখান থেকে হাসরাঙ্গা আর নিশাঙ্কার ৮২ বলে ১২৩ রানের জুটি বড় স্কোরের দিশা দেয় দলকে। এরপর শেষদিকে দাসুন শানাকার ১১ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে ১৭১ রানের পুঁজি পায় ২০১৪ এর চ্যাম্পিয়নরা। 

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট খুইয়েছে আইরিশরা। ওভারপ্রতি সাড়ে আট রান তাড়া করতে বড় ইনিংস প্রয়োজন ছিল দলটির, কেভিন ও ব্রায়েন, পল স্টার্লিংরা সে প্রয়োজন মেটাতে পারলেন কই? প্রতিরোধ যা গড়েছিল দলটির চতুর্থ উইকেট জুটি, কার্টিস ক্যাম্পারকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক অ্যান্ড্রিউ বালবার্নি তুলেছিলেন ৫৩ রান। 

তবে ইনিংস মেরামত করতে গিয়ে আস্কিং রেট বাড়ছিল চড়চড় করে, সে চাহিদা মেটাতে গিয়ে ভাঙল এ জুটি। পরের গল্পটা লঙ্কানদের জন্য 'জলবৎ তরলং'ই ছিল, স্পিন আক্রমণে আইরিশদের গলা চেপে ধরে শেষ ১৬ রানে তুলেছে ৭ উইকেট। তাতে ৭০ রানের জয় আর সুপার টুয়েলভের টিকিটও ঝুলিতে পুরে ফেলে শ্রীলঙ্কা। 

এনইউ