ওয়ার্ন অনেক স্লেজিং করতো, কিন্তু আমাদের সঙ্গে কিছুই করেনি: বাশার
জীবন প্রদীপ নিভে গেল শেন ওয়ার্নের। নতুন একটি ইনিংসের শুরু হলো। এবার কি আস্তে আস্তে মরচে ধরতে শুরু করবে ওয়ার্ন অধ্যায়ের? তবে কিংবদন্তির নাকি মৃত্যু হয় না। যতদিন টিকে থাকবে বিশ্ব ক্রিকেট, ততদিন উচ্চারিত হবে ওয়ার্নের নাম। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক লেগ স্পিনার বাংলাদেশ সফরে এসে যে ভ্রাতৃত্ব দেখিয়েছিলেন, তা বিশেষভাবে মনে আছে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের কাছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পাওয়া ওয়ার্নের মৃত্যুর খবরে অনুভূতি শূন্য হয়ে পড়েন বাশার, ‘যখন ওর মৃত্যুর খবরটা পেলাম শূন্য একটা অনুভূতি হলো। সে গোটা ক্রিকেটটাকেই উপভোগ করতো। শুধু নিজের খেলা না, সব শেষ ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছিল, সেটাও বেশ উপভোগ করতো। আমি নিজেও তার ধারাভাষ্য উপভোগ করতাম। তার বোলিং দেখাটাই ছিল আনন্দের।’
বিজ্ঞাপন
২০০৬ সালের ফতুল্লা টেস্ট। এ দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের ভুলে যাওয়া কথা নয়। শাহরিয়ার নাফীসের ১৩৮ রানের সঙ্গে বাশারের ৭৬ আর রাজিন সালেহর ৬৬ রানের কল্যাণে প্রথম ইনিংসে স্কোর বোর্ডে ৪২৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ দল। শেন ওয়ার্ন ১১২ রান দিয়েও ছিলেন উইকেট শূন্য। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ৩ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। সে ম্যাচে ওয়ার্নকে এক রহস্যময় চরিত্রে দেখেন বাশার।
বাশার বলছিলেন, ‘যখন সে বোলিংয়ে ভালো করতে পারত না, তখন শারীরিক ভাষাতে ব্যাটসম্যানদের ডমিনেট করার চেষ্টা করত। অনেক স্লেজিং করত সে। কিন্তু কেন জানি আমাদের সাথে সে এগুলোর কিছুই করেনি। বোলিংয়ের সময়ে অনেক কথা বলতো, ব্যাটসম্যানদের অনেক কিছু বলতো, কিন্তু আমাদের সাথেই সে কাজটা করেনি। আমাদের সাথে একটু ব্যতিক্রম ছিল।’
বিজ্ঞাপন
২০০৬ সালে ওয়ার্নের বিপক্ষে খেলার স্মৃতি এখনো টাটকা বাশারের। ওয়ার্নেরকে খেলা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন তিনি।
বাশার বললেন, ‘ওই সিরিজটা বেশ ভালোভাবে মনে আছে। শেন ওয়ার্ন তখন বিশ্বনন্দিত লেগস্পিনার। তার বিপক্ষে খেলতে পারা ছিল আসলেই রোমাঞ্চের। তখন তো অস্ট্রেলিয়া দলে অনেক কিংবদন্তি বোলার ছিল, তবুও তাকে নিয়ে আমাদের আলাদা ভাবনা ছিল, কিভাবে শেন ওয়ার্নকে খেলা যায়। প্রতিপক্ষ হলেও ওর বোলিং দেখাটাই ছিল আনন্দের ব্যাপার।’
যোগ করেন বাশার, ‘ওকে খেলা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। ফতুল্লায় আমার আর শাহরিয়ার নাফীসের যে জুটি, সে নিজেও আশা করেনি আমি আর নাফীস তাকে এত ভালো খেলতে পারব।’
টিআইএস/এনইউ