ভিনু মানকড় থেকে রবীচন্দ্রন অশ্বিন। যারাই ব্যাটসম্যানকে এই আউট করেছেন, তারাই পড়েছেন সমালোচনার মুখে। নন স্ট্রাইক প্রান্তের ব্যাটসম্যান দাগ ছেড়ে বেড়িয়ে গেলে তাকে আউট করা ক্রিকেটীয় আইনে এমনিতে বৈধই ছিল। কিন্তু ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ এর দোহাই দিয়ে তুলোধোনা করা হতো ওই বোলারকে। 

অবশেষে প্রচলিত আইনেও রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব। এখন থেকে মানকাডিং নামে কোনো আউট থাকছে না, সেটা হবে রান আউট। এমসিসির সভায় প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে ক্রিকেটের বেশ কিছু নিয়ম বদলের বিষয়টি। 

আগামী ১ অক্টোবর থেকে নতুন নিয়মগুলো চালু করতে চলেছে আইসিসি। এর মধ্যে মানকাডিংকে স্বাভাবিক রান আউট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা বিল ব্রাউনকে আউট করেছিলেন ভিনু মানকড়। এরপর থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড় আউটটির নাম হয়ে যায় মানকড়ের নামে।

তবে এখন থেকে নন-স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যানকে ডেলিভারির আগেই বোলার রান-আউট করলে তা অনৈতিক বা স্পিরিট-বিরোধী বলে বিবেচনা করা যাবে না। বরং ব্যাটসম্যানকে রান-আউট দেওয়া হবে স্বাভাবিক নিয়মে। এতদিন মানকাডিংকে ‘আনফেয়ার প্লে’ (ল-৪১) হিসেবে চিহ্নিত করা হতো আইসিসির নিয়মে। এবার থেকে তা বিবেচিত হবে ‘ফেয়ার প্লে’ হিসেবে। মানকাডিংকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে রান-আউটের কোটায় (ল-৩৮)।

মানকাডিং নতুন করে আলোচনায় আসে ২০১৯ আইপিএলে জোস বাটলারকে রবীচন্দ্রন অশ্বিন মানকাডিং করার পর। ওই আউটের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন অশ্বিন। তবে সবসময়ই এই আউটের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন ভারতীয় তারকা।

এমএইচ/এটি