রুটের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি বড় সংগ্রহের পথ দেখাচ্ছে ইংল্যান্ডকে
গেল বছর রুটের টেস্ট গড় ছিল ৬১। ১৫ ম্যাচে করেছিলেন ৬টি সেঞ্চুরি। তথৈবচ ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ডও ছিলেন তিনিই। এমন সব কীর্তি গড়েও ফল পাচ্ছিলেন না, দল হেরেছে ৯ ম্যাচে, খুইয়েছে মর্যাদার অ্যাশেজও। তার কারণও ছিল দলটির ব্যাটিংই।
সে ঘাটতিটা সামলাতে রুট এবার নিজের ব্যাটিং অর্ডারে এনেছেন পরিবর্তন। গেল বছর চারে ব্যাট করে পাওয়া সাফল্যের পরও দলের প্রয়োজনে নিজেকে তুলে এনেছেন তিনে, দলে ব্যাটিংয়ের দায়িত্বটা নিতে চেয়েছেন আরেকটু বেশি। এর আগে তিনে সাফল্য না পেলেও এবার যেন তার ব্যাটে রানের ফল্গুধারা যেন থামছেই না। উইন্ডিজ সফরে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পেলেন সেঞ্চুরি। তার এই সেঞ্চুরিই দ্বিতীয় টেস্টে বড় রানের দিশা দিচ্ছে ইংলিশদের।
বিজ্ঞাপন
গেল বছরের পুরোটা জুড়ে যেমন দেখা গেছে, চারে ব্যাট করলেও টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় রুটকে নামতে হয়েছে অনেক আগেই। এই সিরিজেও দেখা মিলেছে তেমন কিছুর, তিনে ব্যাট করায় আগে নামতে হতো এমনিতেই, তবে ওপেনিং ব্যর্থতার কারণে সেটা যেন ত্বরান্বিত হয়েছে আরেকটু। তবে আগে তিনে ব্যাট করা সব বারের সঙ্গে এবারের পার্থক্য, রুট এবার অনেক বেশি ঋদ্ধ। গেল বছর দলের টপ অর্ডার ব্যর্থতা যেন রুটের জন্য আশির্বাদ হয়েই এসেছে, অন্তত উইন্ডিজ সফরটা তা-ই বলছে।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। যার শেষটা এসেছে গেল রাতে। বার্বাডোজের রোদঝলমলে দিনে ক্যারিবীয় বোলারদের শাসিয়ে করেছেন সেঞ্চুরিটা। তবে নিখুঁত ছিল ইনিংসটা, এমন কিছু বলার সুযোগ নেই আদৌ। শুরুতে উইকেটের পেছনে জশুয়া দা সিলভা তার ক্যাচ ফেলেছেন, একবার বেঁচে গেছেন উইন্ডিজ রিভিউ না নেওয়াতে। তার ব্যাট ছুঁয়ে বল ফাঁকা স্লিপ গলে বেরিয়ে গেছে বেশ কয়েকবার। তবে শেষ এক বছরে যেভাবে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপকে একাহাতে টেনেছেন, তাতে কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়াও তার পাওনা ছিল বৈকি। তবে থিতু হতেই তিনি খেলেছেন দারুণ নিয়ন্ত্রিত এক ইনিংস। পেয়েছেন টানা দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরিও।
বিজ্ঞাপন
রুটের গড়পড়তা ইনিংস যেভাবে শুরু হয়, শুরু থেকেই দারুণ ব্যতিব্যস্ত, বার্বাডোজেও হয়েছে তেমন। ইনিংসের শুরুতেই জ্যাক ক্রলির বিদায়ে জুটি বেধেছিলেন অ্যালেক্স লিসের সঙ্গে। পেরমলের বলে লিস ফিরতে তার সঙ্গী হন ড্যান লরেন্স। তবে তার আগে দারুণ স্থিতধী ব্যাটিং আর কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়াতে তিনি আরেকটা ব্যাটিং বিপর্যয় সামলেছিলেন দারুণভাবেই।
লরেন্স আসার পর মনোযোগ দিয়েছেন ইনিংস গড়াতে। এ সময় রানের গতিও বেড়েছে বেশ। দিনের শুরুর ৪৫ ওভারে যেখানে উঠেছিল কেবল ৮০ রান, শেষ ৪৫ ওভারে সেখানে উঠেছে ১৬৫ রান। দিনের শেষ বলে নার্ভাস নাইন্টিজের ঘরে থাকা লরেন্সকে যদি হারিয়ে না ফেলতেন রুট, তাহলে ইংলিশদের দিনটা হতো আরেকটু রঙিন। তবে ১১৯ নিয়ে রুট আছেন এখনো। তাই সফরকারীদের বড় রানের আশাটাও তাই টিকে রইলো ভালোভাবেই।
এনইউ