শুরুতেই মুস্তাফিজ-জাদু, পাঞ্জাবকে অল্পতেই রুখে দিল দিল্লি
আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে বেদম মার হজম করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৪৮ রান। আর তার দল দিল্লি ক্যাপিটালসও হেরেছিল ১৬ রানে। তবে সে ম্যাচের বিভীষিকা আজ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে শুরুতেই ভুলিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজ। শুরুর ওভারেই পেয়ে গেছেন উইকেটের দেখা। এরপর দিল্লির বাকি বোলারদের নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষ আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি, গুটিয়ে গেছে ১১৫ রানে। তাতে জয়ের ধারায় ফিরতে এখন দিল্লির সামনে পড়েছে ১১৬ রানের লক্ষ্য।
দলে করোনার থাবা ছিল, দুই বিদেশি ক্রিকেটার মিচেল মার্শ আর টিম সেইফার্ট ছিটকে গিয়েছিলেন আক্রান্ত হয়ে। সে কারণে শঙ্কা জেগেছিল ম্যাচ নিয়েও। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দুই দল ঠিকই মাঠে নামে আজ। ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পান্ত জেতেন টসে, নেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।
বিজ্ঞাপন
বোলিং প্রান্তে আজ মুস্তাফিজ ইনিংসের উদ্বোধন করেননি। শার্দুল ঠাকুর আর খলীল আহমেদকে শুরুতে আক্রমণে এনেছিলেন অধিনায়ক পান্ত। তবে শুরুতে সাফল্য মেলেনি। ৪ ওভারেই পাঞ্জাব তুলে ফেলে ৩৩ রান। চতুর্থ ওভার করতে আসা ললিত যাদব ভাঙেন সেই জুটি, ফেরান ৯ রান করা শিখর ধাওয়ানকে।
এরপরই দেখা মিলল মুস্তাফিজ জাদুর। পঞ্চম ওভার করতে আসা বাংলাদেশি এই বোলার প্রথম বলে দিলেন ডট, এরপর দুটো রান দিয়ে বসেন তিনি। এরপরই দারুণ বলে ফেরান ক্রমেই ভয়ঙ্কর হতে থাকা মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে। ব্যাক অফ আ গুড লেন্থ বলটা খানিকটা জায়গা বানিয়ে থার্ড ম্যানের ওপর দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন সীমানায়, তবে তাতে সাফল্য মেলেনি। ব্যাটের ভেতরের কোণায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। আগের ম্যাচের বিভীষিকাটা আজ প্রথম ওভারেই ভুলিয়ে দেওয়ার আভাস দেন মুস্তাফিজ। শেষ দুই বলে ফিল্ডিংয়ের গড়বড়ে অবশ্য দুটো চার হজম করতে হয় তাকে।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধনী দুই ব্যাটারকে হারিয়ে হকচকিয়ে যায় পাঞ্জাব। এরপর উইকেট হারায় পরের দুই ওভারেও। দুই ইংলিশ ব্যাটার লিয়াম লিভিংস্টোন আর জনি বেয়ারস্টোকে ফেরান অক্ষর পাটেল আর খলীল আহমেদ। এরপর নবম ওভারে অধিনায়ক পান্ত আবারও আক্রমণে আনেন মুস্তাফিজকে। একটা চার হজম করলেও সে ওভারে তিনি দেন মাত্র ৬ রান।
জীতেশ শর্মা চোখ রাঙাচ্ছিলেন দিল্লিকে, ২২ বলে ৩২ করা তাকে ১৩তম ওভারে ফিরিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান অক্ষর পাটেল। পরের ওভারে কাগিসো রাবাদা আর ন্যাথান এলিসকে ফিরিয়ে পাঞ্জাবের বড় স্কোরের আশা শেষ করে দেন কুলদীপ যাদব। এরপরই খলীল আহমেদ ফেরান শাহরুখ খানকে। ৯২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে পাঞ্জাব তখন রীতিমতো কাঁপছে।
১৭তম ওভার মুস্তাফিজ আবারও আসেন আক্রমণে, এবার দেন ৭ রান। এরপর ললিত ফেরান রাহুল চাহারকে। শেষ ওভারে মুস্তাফিজের ডাক পড়ে আবার। একটা চার হজম করলেও এর আগে পরে সবকটি বল দেন ডট, শেষ বলে রান আউট হন আরশদ্বীপ সিং। তাতে ৪ ওভার শেষে মুস্তাফিজের বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড়ায় ৪-০-২৮-১। আর পাঞ্জাবকে ১১৫ রানে গুড়িয়ে দেয় দিল্লি, পায় ১১৬ রানের লক্ষ্য।
এনইউ