বাংলাদেশ ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। এরপরই অবস্থান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের। চলতি মৌসুমে নেতৃত্ব দিয়ে নিজ দলকে দুটি শিরোপাই এনে দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে চ্যাম্পিয়ন মুকুট পরানোর পর এবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে পাইয়ে দিয়েছেন প্রথমবারের মতো ডিপিএল শিরোপার স্বাদ। এক মৌসুমে দুই শিরোপা, ইমরুলের এমন সাফল্যর রহস্য কী?

আজ (মঙ্গলবার) মিরপুরে আবাহনী লিমিটেডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শেখ জামালকে চ্যাম্পিয়ন করে ইমরুল শোনালের সাফল্যের মন্ত্র। জানালেন নির্দিষ্ট এক-দুইটা দলের হাতে শিরোপা দেখতে চাননি তিনি।

ইমরুলের ব্যাখ্যা, ‘কুমিল্লায় যখন আমি যাই সবারই লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়ন হবো। এ বছর যখন আমি শেখ জামালে যাই সবার প্রতি মেসেজটা এমনই ছিল যে আমি দেখতে চাই না যে দু-একটা নির্দিষ্ট দল প্রত্যেক বছর চ্যাম্পিয়ন হয়। এই ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমরা ঘুরে ফিরে খেলি। ওরা যদি পারে আমরা কেন পারব না। এই বিশ্বাসটা সবার মনে দিতে পেরেছি বলে এই সাফল্যটা এসেছে।’

অধিনায়কের চেয়ারে বসে ইমরুল বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে দলের সবার সাথে কতটুকু ঘনিষ্ট এটা গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়ক হিসেবে যদি মনে করেন আপনি আলাদা থাকতে চান তাহলে বন্ডিংটা তৈরি হয় না। আমার সাথে সবার সম্পর্কটা ওরকম। তাই সবাই মন থেকে চায় যেন দলটা চ্যাম্পিয়ন হয়।’

শেখ জানালের শিরোপা জয়ে সামনে থেকে লড়েছেন নুরুল হাসান সোহান। আবাহনীর বিপক্ষে দল যখন খাদের কিনারায়, তখন একা হাতে ম্যাচ বের করেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এক ম্যাচ আগেই অনবদ্য শতকে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ২ পয়েন্ট এনে দিয়েছেন। বোলিংয়ে আলাদাকরে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

দুই ক্রিকেটারের প্রশংসা করলেন ইমরুল, ‘আশা করেছিলাম সোহান এমনই ব্যাট করবে। সোহানের মতো কেউ করতে পারছিল না। সোহান যতদিন ছিল না আমরা এরকম কাউকে মিস করছিলাম। মৃত্যুঞ্জয় ডেথ ওভারে কয়েকটা ম্যাচে ভাল বল করেছে ম্যাচ বের করে দিয়েছে। সানজামুল ভাল করেছে। সত্যি বলতে পারভেজ রসুল আমাদের হয়ে দারুণ খেলেছে। আমি ভাবিনি এত ভাল করবে।’

টিআইএস/এনইউ