এনামুল হক বিজয় বন্দনায় মুখরিত বাংলাদেশ ক্রিকেট। সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় তুলেছেন প্রাইম ব্যাংকের এই ওপেনার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের এক মৌসুমে ছাড়িয়েছেন হাজার রানের গণ্ডি। বিজয়ের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে তাকে আবার জাতীয় দলে ফেরানোর জোর দাবি উঠেছে। সে দাবিতে সুর মিলিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মাশরাফি বলেন, ‘দেখেন পুরো একটা লিগ থেকে আপনি ১০-১২ জনকে আনতে পারেন। তবে জাতীয় দলকে ফোকাস করলে এক বা দুইজনকে টার্গেট করতে হয়। সেটা যদি করেন, আমি মনে করি বিজয়। আগেরদিনও বলেছি, আজকেও বলছি সে অসাধারণ ব্যাটিং করেছে, দাপট দেখিয়ে ব্যাটিং করেছে। বিজয়কে আমি মনে করি এখনই বিবেচনা করার সময়।’

ব্যাট হাতের রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন বিজয়। লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর সাইফ হাসানের ৮১৪ রানের রেকর্ড ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেছেন আগেই। এরপর এক মৌসুমে ছুঁয়েছেন ১ হাজার রানের গণ্ডি, যা বাংলাদেশ তো বটেই, বিশ্বের কোনো ব্যাটসম্যানের এক মৌসুমে চার অঙ্কের রান ছোঁয়ার রেকর্ড নেই। ১৫ ইনিংস শেষে বিজয় থেমেছেন ১১৩৮ রানে। যেখানে ৩ সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি আছে ৯টি।

মাশরাফি মনে করে বিজয়কে দলে নেওয়ার এখনই সঠিক সময়। তবে প্রশ্ন উঠেছে বিজয় তো ওপেনার, বাংলাদেশ দলে সাদা পোশাকে ওপেনিংয়ে জায়গা পাকা তামিম ইকবাল আর লিটন দাসের, টেস্টে তামিমের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়। তাহলে খেলবে কোথায় বিজয়? মাশরাফি মনে করেন, টি-টোয়েন্টিতে হলেও বিজয়কে সুযোগ দেওয়া উচিৎ। প্রয়োজনে তৃতীয় ওপেনার হিসেবেও তাকে দলের সঙ্গে রাখা যেতে পারে।

মাশরাফির ব্যাখ্যা, ‘একজন মানুষ যদি ১১শ রান করে সুযোগ না পায়, তাহলে তার আর প্রমাণ করার জায়গা থাকে না। তাই এই সুযোগটা পাওয়া উচিত।’

সঙ্গে যোগ করেন মাশরাফি, ‘ক্রিকেটে একটা বিষয় আছে বয়স। এখন বিজয়-সোহানরা যে বয়সে আছে, ক্রিকেটে ২৮ থেকে ৩২-৩৪ এর একটা প্যাচ থাকে, এখন কিন্তু ওরা ওই বয়সে রয়েছে। তাই এখানে শুধু অভিজ্ঞতা বা সিনিয়র খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা না করে যদি ওদের কিছু ম্যাচে সুযোগ দেওয়া যায়, আমার মনে হয় ওরা ভালো করবে। কারণ ওই যে বললাম, একটা বয়সের পরও স্পিরিট আর ওদের ভেতরে থাকবে না, যখন সুযোগ পাবে না।’

টিআইএস/এইচএমএ