মিরপুর স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে একাডেমি মাঠ। সকাল ১০টায় সেখানেই শুরু হয় শ্রীলঙ্কা দলের অনুশীলন। সফরকারী দলের অনুশীলন ঘিরে সচরাচর সংবাদমাধ্যম কর্মীদের ভিড় দেখা যায়, কিন্তু আজ সোমবার সেটি আর চোখ ধরল না। কিন্তু ভুল ভাঙতে সময় লাগলো না বেশি। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মী কাছে এসে বিনয়ের সঙ্গে জানালেন, এখানে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের অনুশীলন দেখা মানা আছে লঙ্কান দলের পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজে জৈব সুরক্ষা বলয়ের কোনো বালাই নেই। তবুও অনুশীলনের মতো সফরকারী দলের সংবাদ সম্মেলেন হলো বেশ দূরত্ব মেনে। দূর থেকে ভেসে আসা কথাগুলো সংবাদমাধ্যম কর্মীদের কানে এসে পৌঁছাল সামান্যই। তবে সংবাদ সম্মেলনে শেষে ফেরার পথে যে কথাটি বলে গেলেন শ্রীলঙ্কা দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা নাভিদ নেওয়াজ, সেটি দীর্ঘদিন কানে লেগে থাকার কথা। লঙ্কান সহকারী কোচ জানালেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি হবেন শরিফুল ইসলাম আর মাহমুদুল হাসান জয়।

নাভিদ বলছিলেন, ‘তাদের (শরিফুল-জয়) স্কিল যথেষ্ট আছে, যেকোনো পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে। তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্য পেয়েছে। ভবিষ্যতেও বিভিন্ন দেশে গিয়ে মানিয়ে নিতে হবে। তারা একদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি হবে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যে অর্জন, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়, তার মূল কারিগর ছিলেন এই নাভিদ নেওয়াজ। তারই শিষ্য শরিফুল আর জয়। বিশ্বকাপজয়ী এই দুই ক্রিকেটার এখন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নাভিদ এ বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চাকরি ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন নিজ দেশ শ্রীলঙ্কায়। লঙ্কানদের মূল দলের সহাকারী কোচ হয়েছেন তিনি।

নিজে না থাকলেও জয়-শরিফুলদের উন্নতিতে সমস্যা হবে না বলে মনে করেন নাভিদ, ‘আমি থাকা বা না থাকায় কিছু যায় আসে না। তারা অবশ্যই আমাকে দেখে খুশি হবে, বেশ কিছুদিন দেখা হয় না। সব মিলিয়ে সেটি হয়তো ইতিবাচকই হবে।’

গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই টেস্ট অভিষেক হয় শরিফুলের। এখন পর্যন্ত এ বাঁহাতি পেসার খেলেছেন ৩টি টেস্ট। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্যাপ পাওয়া জয় খেলেছেন ৪ ম্যাচ।

টিআইএস/এনইউ