অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত শ্রীলঙ্কা এখন বিক্ষোভে উত্তাল। আর এই অস্থিরতার ফলে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থাও প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম। এমন অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে দেশটিতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও সিরিজগুলো শঙ্কার মুখে।

এই বছরের ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রতে আয়োজিত হওয়ার কথা এবারের এশিয়া কাপ। তবে চলমান অস্থিরতার ফলে এই মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট আদৌ দেশটিতে আয়োজন করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে এখন জল্পনা-কল্পনা চলছে।

এই মাসের শেষের দিকে এশিয়া কাপের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। সংস্থাটির সভাপতি ও বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ শ্রীলঙ্কায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর দেশটির ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি শাম্মি সিলভা এবং প্রধান নির্বাহী অ্যাশলি ডি সিলভার সঙ্গে বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে ক্রিকবাজ।

শ্রীলঙ্কায় যদি যথা সময়ে এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্ট আয়োজনের নতুন ভেন্যু পেতে এসিসিকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। কারণ বছরের সে সময়টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রচণ্ড দাবদাহ থাকে। এছাড়া ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের কারণে এই দুটি দেশেও টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। আর এমনটা হলে আবারও বাংলাদেশ হতে পারে এশিয়া কাপের আয়োজক। 

শ্রীলঙ্কায় যদি এশিয়া কাপ শেষ পর্যন্ত আয়োজন করা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রস্তুত। এসিসি এবং শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) কাছে বিসিবি এই আগ্রহের কথা জানিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিসিবির একটি সূত্র।

২০২১ এশিয়া কাপ পাকিস্তানে আয়োজনের কথা ছিল। তবে ভারতের পাকিস্তানে খেলতে অনীহা থাকায় টুর্নামেন্টের নতুন আয়োজক নির্ধারিত হয় শ্রীলঙ্কা। গত বছরই শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে দেশটিতে তখন করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় আসরটি পিছিয়ে এই বছরে চলে আসে। দেশটিতে চলমান অস্থিরতার কারণে আরও একবার অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেল এশিয়া কাপ। 

এছাড়াও আগামী জুনে অস্ট্রেলিয়ার শ্রীলঙ্কা সফর নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দুই টেস্ট, পাঁচ ওয়ানডে এবং তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে শ্রীলঙ্কায় আসার কথা থাকলেও আপাতত অস্ট্রেলিয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে সফর সূচিতে এখনো কোন পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়নি অজিরা।

এইচএমএ