গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘নিরাপত্তা হুমকি’র কারণ দেখিয়ে শেষ মুহূর্তে সিরিজ বাতিল করেছিল নিউজিল্যান্ড। বাতিলকৃত সেই সিরিজের জন্য পাকিস্তানকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এছাড়া আগামী বছরে পাকিস্তান সফরে অতিরিক্ত ম্যাচ খেলার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান সফরে তিন ওয়ানডে এবং পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের। তবে রাওয়ালপিন্ডিতে দুই দলের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ‘নিরাপত্তা হুমকি’র কারণ দেখিয়ে সফর বাতিলের ঘোষণা দেয় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। সব প্রস্তুতি সম্পন্নের পর শেষ মুহূর্তে সিরিজ বাতিলের বিষয়টিতে ক্ষুদ্ধ হয়েছিল পাকিস্তান।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রধান রমিজ রাজা তখন সিরিজ বাতিলের প্রসঙ্গে বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, ‘নিউজিল্যান্ড কোন দুনিয়ায় বাস করে? আইসিসিতে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া হবে।’

নিউজিল্যান্ড তখন কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। পাকিস্তানও বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আর উচ্চবাচ্য করেনি। তবে নিউজিল্যান্ডের সেই সফর বাতিলের পর ইংল্যান্ডও পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের সফর বাতিল করে দেয়।

দীর্ঘ সময় ধরে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর চেষ্টায় থাকা পাকিস্তানের জন্য সেটা বড় এক ধাক্কা ছিল। তবে গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও এই বছর অস্ট্রেলিয়ার ‘ঐতিহাসিক’ পূর্ণাঙ্গ সফরের মধ্য দিয়ে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে দেশটি।

আর্থিক ক্ষতিপূরণ, আগামী বছর পাকিস্তান সফরে অতিরিক্ত ম্যাচ খেলার সঙ্গে এই বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দেশটিতে একটি টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজেও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তান সেই সিরিজে নীতিগতভাবে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ত্রিদেশীয় এই সিরিজে বাংলাদেশেরও অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

পাকিস্তানকে ঠিক কী অংকের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে নিউজিল্যান্ড, সেটা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। নিউজিল্যান্ড আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলতে পাকিস্তান সফর করবে। পরবর্তীতে আগামী বছরের এপ্রিলে পাঁচ ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে আবার পাকিস্তান সফরে আসবে কিউইরা।

এইচএমএ