বাংলাদেশ ক্রিকেটে খালেদ মাহমুদ সুজনের ভূমিকা কী? এই প্রশ্নটা দুই ধরনের সমর্থক করতে পারেন। এক, যারা তার সম্পর্কে জানেন না। আর দুই, যারা বুঝতে পারেন না তাকে ঠিক কোনো বিশেষণে বিশেষায়িত করবেন! আপনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থক হলে দ্বিতীয় দলেই পড়বেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আর বোর্ড মিলিয়ে একাধিক পদে দায়িত্বরত সুজন। সব দায়িত্বের একটাই লক্ষ্য, দেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন।

জাতীয় দলে তাকে সবাই ‘চাচা’ বলে সম্বোধন করেন, এমনকি বিদেশি কোচিং প্যানেলের সদস্যরাও চাচা ডাকেন তাকে। ৫৫ বছর বয়সী বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালন ডোনাল্ড সুজনের চেয়ে ৫ বছরের বড়। তবে তিনিও সুজনকে চাচা বলেই ডাকেন। চাচার ইংরেজিও বেশ ভালোই জানা ডোনাল্ডের। তবুও কেন চাচা ডাকেন সুজন? এর ব্যাখ্যায় পেস বোলিং কোচ জানালেন, সুজন সব ক্রিকেটারের কাছে বাবার মতো চরিত্র।

বুধবার মিরপুর ডোনাল্ড বলছিলেন, ‘তাকে (সুজন) আমি চাচা বলেই ডাকি। তাকে প্রথম দেখি বাংলাদেশ যখন প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায় তখন। সে মিডিয়াম পেস বোলিং করতো, কিছুটা ক্ষ্যাপাটেও ছিল। ব্যাপারগুলো আমি দারুণ পছন্দ করি, যেভাবে সে সব সামলায়।’ 

সঙ্গে যোগ করেন ডোনাল্ড, ‘সে একজন বাবার মতো চরিত্র সব ক্রিকেটারের কাছে। তাদের কাছ থেকে বেশ সম্মানও পায়। আইডিয়া ভাগাভাগি করার জন্য চমৎকার লোক। আপনি যদি কোনো কিছু করতে চান চাচা তা করাবেন।’

বোর্ড পরিচালক, গেম ডেভলমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান, টুর্নামেন্ট কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা সুজন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন। এজন্য বেশ সমালোচিত হতে হয় তাকে। সব ছাপিয়ে তিনি ক্রিকেটারদের অভিভাবক। ক্রিকেটাররা ভালো-মন্দ সব বিষয়ে আগে সুজনের শরণাপন্ন হন। 

টিআইএস/এনইউ