২০১৩ সালে ঢাকায় বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি এসেছিল। ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে আসেনি। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের আগে পরম আরাধ্য সেই ট্রফি আবার আসছে বাংলাদেশের বুকে। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি ঢাকায় আসার কথা। 

বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার ট্রফি সফরের কর্মাশিয়াল পার্টনার কোকাকোলা। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ট্রফি ছিল তিন দিন। তখনও কোকাকোলা ট্রফি প্রদর্শনী ব্যবস্থাপনায় ছিল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ছিল সহযোগিতা। এবারও এই রকমই হবে। 

বিশ্বকাপের ট্রফি বাংলাদেশে আসছে এটা নিশ্চিত। ট্রফির সফরে অন্যতম পার্টনার কোকাকোলা ইতোমধ্যে তাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছে এবং ট্রফি সফর আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সভাও করেছে। 

বাফুফেকে ফিফাও নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশে ট্রফি ভ্রমণের বিষয়টি। এরপরও বাফুফে ও কোকাকোলা কেউ এখনো এই প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি নয়। দুই-তিন দিনের মধ্যে দুই সংস্থা একটি যৌথ বিজ্ঞপ্তি অথবা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ট্রফি আগমনের বিষয়টি অবহিত করবে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ৮-৯ জুন ঢাকায় ট্রফি প্রদর্শনের জন্য থাকবে। নিরাপত্তা ইস্যু বিবেচনায় ট্রফি প্রদর্শনের স্থান শেষ মুহূর্তে ঘোষণা করবে বাফুফে ও কোকাকোলা।

২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের আগের বছর ১৭-১৯ ডিসেম্বর হোটেল র‌্যাডিসনে বিশ্বকাপ ট্রফি প্রদর্শনীয় হয়েছিল। বাফুফে ও কোকাকোলা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ট্রফি প্রদর্শনীর জন্য নানা ব্যবস্থাপনা করলেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় শেষ পর্যন্ত হোটেল র‌্যাডিসনেই ট্রফি রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে ফুটবলপ্রেমীরা পূর্ব নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে পেরেছিল এবং সেই ছবি কোকাকোলার মাধ্যমে ততক্ষণাৎ প্রিন্ট কপিও পেয়েছিলেন দর্শনার্থীরা। এবারও এ রকম সুযোগ থাকতে পারে।

কোকাকোলা বিশ্বকাপ ট্রফি সফরের পৃষ্ঠপোষক। প্রতি বিশ্বকাপের আগে কোন কোন দেশে যাবে সেটা এই প্রতিষ্ঠান ও ফিফা যৌথভাবে ঠিক করে। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে না আসলেও শ্রীলঙ্কায় ট্রফি এসেছিল। এবার বাংলাদেশে আসছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য সব দেশে নাও যেতে পারে।

এজেড/এটি/এনইউ