ঘরের মাঠে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ মানেই আলোচনায় উইকেটের চরিত্র। সেই আলোচনা আরো বেশি ডালপালা মেলে টেস্ট সিরিজকে ঘিরে। সাদা পোশাকে খুব বেশি শক্তিশালী দল হয়ে ওঠেনি বাংলাদেশ দল। এজন্য ঘরের মাঠের খেলা টেস্টগুলো লক্ষ্য বানায় টাইগাররা। তাতে মাঝেমধ্যে বুমেরাং হলেও ফলাফল পক্ষে আসে অধিকাংশ সময়ই। উইকেটকে স্পিন স্বর্গ বানিয়ে প্রতিপক্ষ বধের সেই প্রক্রিয়ায় এবার নিজেদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট হেরে দুই ম্যাচের সিরিজটি খুইয়েছে অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল। শুক্রবার ম্যাচ হেরে সংবাদ সম্মেলনে ঘরের মাঠে জয় পাওয়া তিন ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে হেড কোচ রাসের ডমিঙ্গো জানালেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জেতার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ।

ডমিঙ্গো বলছিলেন, ‘এটা হয়তো আমাদের একটা টেস্ট ম্যাচের জন্য সাহায্য করবে। কিন্তু দীর্ঘ পরিসরের জন্য টেস্ট দল গড়তে সাহায্য করবে না। আগের টেস্ট জয়গুলোর প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, ওই টেস্ট জয় আমাদের পরে হয়তো ক্ষতিই করেছে। কারণ, এরপর ভালো উইকেটে যখন খেলেছি, তখন ভালো করিনি। আমরা যদি স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে খেলি, এরপর ঘরের বাইরে ভালো উইকেটে খেলি, তাহলে আমাদের কোনো সুযোগই থাকবে না।’

২০১৬ সালে ঢাকায় ইংল্যান্ড বধের পর ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে বাংলাদেশ দল। স্পিনের ফাঁদে ফেলে একই প্রক্রিয়ায় ২০১৮ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ডমিঙ্গো মনে করে টেস্ট সংস্কৃতি গড়তে হলে, ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে উন্নতি আনতে হলে ভালো উইকেটে খেলতে হবে। যেমনটি হয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট।

ডমিঙ্গো বলছিলেন, ‘আমাদের টেস্ট সংস্কৃতি গড়তে হলে, ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে উন্নতি আনতে হলে ভালো উইকেটে খেলতে হবে। এই টেস্টের উইকেট ভালো ছিল। টেস্টের পঞ্চম দিন ফল এসেছে, ভালো উইকেট! চট্টগ্রাম ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু সেখানেও ফল হতে পারত। ওরা বাজে উইকেটে খেলে অভ্যস্ত তাই ভালো করতে পারছে না। আমি হতাশাটা বুঝতে পারছি। যত ভালো উইকেটে আমরা খেলব, ক্রিকেটারদের উন্নতিও ততো ভালো হবে।’

সঙ্গে যোগ করেন ডমিঙ্গো, ‘আমি জানি সবাই জিততে চাচ্ছে। আমি জানি চট জলদি ফলাফলের সুযোগ আছে। বাজে উইকেটে খেলে প্রতিপক্ষকে ১০০ রানে অলআউট করে ফেলে আমরা ১২০ রান করব। এভাবে খেললে দল উন্নতি করবে না। এভাবে খেলেও কিন্তু সিরিজ জিততে পারিনি।’

টিআইএস