কাউন্টির বদলে আইপিএল খেলেই এমন বিধ্বংসী বেয়ারস্টো
নটিংহ্যাম টেস্টের শেষদিন চা বিরতির সময় ড্রয়ের সম্ভাবনাটাই উঁকি দিচ্ছিল বেশি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হলে শেষ সেশনে সম্ভাব্য ৩৮ ওভারে ইংল্যান্ডের যে দরকার ছিল ১৬০ রান। সেই রানটা ইংলিশরা টপকে গেছে চা বিরতি থেকে ফিরে মাত্র ১৬ ওভারেই। ৯২ বলে ১৩৮ রানের ইনিংস খেলে যাতে নেতৃত্বটা দিয়েছেন জনাথন বেয়ারস্টো।
এখানেই শেষ নয়। অধিনায়ক বেন স্টোকসকে সঙ্গে নিয়ে বেয়ারস্টোর ১৭৯ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি এসেছে মাত্র ১২১ বলে; শেষ যে পাঁচ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আগে ব্যাট করেছে ইংল্যান্ড, তার সবক’টিতে দলের সংগ্রহ হয়েছে এর চেয়ে কম। এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পেছনে আইপিএলের অবদানকে বড় করে দেখলেন বেয়ারস্টো। জানালেন, কাউন্টির বদলে আইপিএল খেলতে গিয়ে লাভই হয়েছে তার।
বিজ্ঞাপন
বেয়ারস্টো সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘অনেকেই বলছিল আইপিএলে খেলা উচিত নয় আমার, কাউন্টি ক্রিকেটে খেলা উচিত। কিন্তু আইপিএলে আপনি বিশ্বসেরাদের বিপক্ষে খেলছেন। খেলার গতি কখন বাড়াতে হবে, কখন কমাতে হবে, সেটা জানা গুরুত্বপূর্ণ। মানুষজন বলবে চারটা লাল বলের ম্যাচ খেললে ভালো হতো, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমান সূচিতে এটা সম্ভব নয়। আর বিশ্বসেরা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে সেরা প্রতিযোগিতায় খেলতে পেরে আমরা ভাগ্যবান।’
‘যখন চাপের মুহূর্তের কথা আসে, এমন সব মুহূর্তে নিজেকে যত বেশি রাখতে পারবেন, তত ভালো; কারণ এগুলো সেই সব মুহূর্ত যার অভিজ্ঞতা আপনার আছে, সেটা আইপিএল হোক, ওয়ানডে হোক কিংবা লাল বলের ক্রিকেট। এমন সব বিকেলে এই অভিজ্ঞতাটাই আপনাকে যোগ্য করে তোলে। এই সুযোগ আর পরিবেশ, ভালো হোক কিংবা খারাপ, এই ম্যাচে যেমন দলগতভাবে পারফর্ম করেছি, তার আগে যেমন করেছি, আশা করি ভবিষ্যতেও যেমন করব, তার জন্য যোগ্য করে তোলে।’
বিজ্ঞাপন
৯২ বলে ১৩৮ এই ইনিংসের শুরু থেকেই অবশ্য এমন বিধ্বংসী ছিলেন না বেয়ারস্টো। শুরুর ২৪ বলে করেছিলেন মাত্র ১২ রান। পরের ৬৮ বলে তিনি করেছেন ১২৪ রান, যেখানে ৭ ছক্কাসহ বাউন্ডারি আছে ২১টি, আর সিঙ্গেল নিয়েছেন মোটে ১৮টি।
এমন ইনিংস বাড়তি তৃপ্তিই দিচ্ছে তাকে। বললেন, ‘প্রথমত, ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট খেলছি, এটা বিশাল গর্বের বিষয়। আর এরপর আসে আমার অবদানের কথা, দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে গেছে, এমন মুহূর্তে এমন অবদান রাখতে পারাটা সে গর্বটা বাড়িয়ে দেয়।’
এনইউ/এটি