পাকিস্তানের ফ্র‍্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সবশেষ আসরে খেলেছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান জেসন রয়। রানও করেছেন দেদারসে। কিন্তু পাকিস্তানের ‘অদ্ভুত’ পরিবেশে তার মানসিক অবস্থা রীতিমতো নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ইংলিশ এই ক্রিকেটার। 

সবশেষ আসরে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে পিএসএল মাতিয়েছেন রয়। খেলেছেন ছয়টি ম্যাচ, রান করেছেন ৩০৩। মৌসুম শেষে তার গড় দাঁড়িয়েছে ৫০.৫, আর স্ট্রাইক রেট ১৭০.২২। 

তবে এমন পারফর্ম্যান্সের পরও মানসিক অবস্থা অনুকূলে ছিল না তার। জানালেন, সেখানকার পরিবেশ মানসিক সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল তাকে। 

রয়ের ভাষ্য, ‘পিএসএলে খেলতে গিয়ে আমার মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। খুব অদ্ভুত এক জায়গায় গিয়ে পড়েছিলাম আমি। ভাল খেলছিলাম বটে, কিন্তু খেলাটা মোটেও উপভোগ করতে পারিনি। আনন্দ মিলছিল না কিছুতেই৷ তা শেষে যখন বাড়ি ফিরলাম, তখন স্বস্তি ফিরে পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, এই বুঝি সাধারণ জীবনে ফিরলাম।’

আগের আসরে পিএসএল মাঝপথে বন্ধ করে দিতে হয় করোনার থাবায়৷ তা থেকে বাঁচতে গেল আসরে ছিল জৈবসুরক্ষা বলয়ের কড়াকড়ি। সেটাতে থেকেই হাঁপিয়ে উঠেছিলেন রয়। 

ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘বাড়ির বাইরে ছিলাম অনেক মাস। হোটেলে আমাদের প্রায় ৫০ দিনের মতো থাকতে হয়েছিল জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভেতরে। 

এবারের পিএসএল মাঠে গড়িয়েছে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। ঠিক তখনই তার সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে। তাকে দূরে রেখে খেলাটাও এর পেছনে কাজ করেছে, মনে করেন রয়। বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে আমার সন্তান হয়েছে। ওর কাছ থেকে দূরে থাকাটাও খুব কষ্টের ছিল।’

পিএসএলের পর আইপিএলের নিলামেও ছিল তার নাম। গুজরাট টাইটান্স দলে নিয়েছিল তাকে। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভয়ে তিনি খেলেননি আইপিএলের এবারের আসরে। রয়ের কথা, ‘ঘরে থাকার কারণে এবার আইপিএলে খেলতে পারিনি। বাড়ি ফিরে মন, শরীর সব কিছু তরতাজা হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার খেলাটার প্রতি ভালোবাসা ফিরে আসছে আমার।’ 

এনইউ/এটি