সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এখন শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার গল টেস্টে দ্বিতীয় দিনের খেলা চলতে থাকার কথা। তবে ম্যাচটা পড়ে গেছে ঝোড়ো আবহাওয়ার কবলে। মুষলধারে বৃষ্টি তো আছেই, তীব্র ঝোড়ো হাওয়াও সঙ্গী হয়েছে তার। যারই কবলে পড়ল স্টেডিয়ামের গ্যালারি। ঝড়ের কবলে পড়ে রীতিমতো ভেঙে চুরমারই হয়ে গেছে স্টেডিয়ামের গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড!

অনুশীলন করার জায়গা থেকে অদূরে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছিল স্টেডিয়ামটির গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড। বাঁশের ওপর টিন আর তেরপলের ছাউনি দিয়ে করা হয়েছিল এই গ্যালারিতে বসার ব্যবস্থা। আজ দ্বিতীয় দিনে সেই গ্যালারিটাই ভেঙে পড়েছে।

গলে আজ বৃষ্টি ছিল দিনের শুরু থেকেই। মাঠকর্মীদের সঙ্গে প্রকৃতির ইঁদুর বিড়াল খেলা চলছিল তখন। না, বৃষ্টি থামেনি; মাঠ কর্মীরা যে পিচ কভার এনে রাখছিলেন সেন্টার উইকেটে, সেটাই ঝোড়ো বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ক্ষণেক্ষণে। 

অস্ট্রেলিয়া দল তখনো স্টেডিয়ামে আসেনি। মাঠের মাঝে যখন এই দৃশ্যের দেখা মিলছিল, তখনই সবার মনোযোগটা সরিয়ে গ্যালারিতে নিয়ে গেল আরও এক ঝোড়ো হাওয়া। ধসে পড়ল গ্যালারি। প্লাস্টিকের অস্থায়ী চেয়ারগুলো তখন হুটোপুটি খাচ্ছে গ্যালারির ধসে পড়া ছাউনির নিচে, আশেপাশে। ভাগ্যিস বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয়নি তখন, নাহয় তো গ্যালারিতে থাকতো মানুষের উপস্থিতি, হতাহতের ঘটনাও ঘটতে পারত বৈকি!

অস্থায়ী গ্যালারির এমন ধসে পড়ার বিষয়টা অবশ্য খুব সম্ভব। স্টেডিয়ামের পাশে উপস্থিতি ভারত মহাসাগরের। যখন তখন বৃষ্টির জন্যও বিশেষ নামডাক আছে গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের। পাশেই যখন সাগর, তখন সাগরের মৌসুমি ঝড় তো মাঠে আঘাত হানতেই পারে! সেটাই ঘটেছে আজ।

মুষলধারে বৃষ্টি আর দমকা হাওয়া খেলা শুরু হতে দেয়নি এখনো। তবে কাল যা খেলা হয়েছে, তাতে শ্রীলঙ্কা কিছুটা ব্যাকফুটেই আছে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ন্যাথান লায়নের স্পিন ভেল্কিতে বিভ্রান্ত হয়ে অলআউট হয়েছে ২১২ রানে। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলেছে ৯৮ রান। খেলা শুরু হলে অসাধারণ কিছু না করে বসলে বড় রানের পাহাড়েই যে চাপা পড়তে যাচ্ছে লঙ্কানরা, তা বলাই বাহুল্য।

এনইউ/এটি