জাতীয় দলের দায়িত্ব বাদ দিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলতে যাবেন সাকিব আল হাসান। এনিয়ে সরগরম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ সোমবার বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি কর্তারা। মিরপুরের শেরেবাংলায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, সাকিবের সিদ্ধান্তে মন খারাপ হয়েছে তার।

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আলো ছড়ালেও সাদা পোশাকের ফরম্যাটে হতশ্রী অবস্থা বাংলাদেশ দলের। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের পর ভারতে দুইটি, পাকিস্তানে একটি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুইটি টেস্ট হেরেছে টাইগাররা। এরপর লাল বলের পরের মিশন শ্রীলঙ্কা। তবে সেই সিরিজের জন্য ছুটি নিয়েছেন সাকিব। এতেই মন খারাপ পাপনের।

মিরপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘না বিব্রত ঠিক না, মন খারাপ। আমাদের মনটা খারাপ কারণ, দেখেন একটা খেলোয়াড়ের পিছনে তো কম বিনিয়োগ নয়। বোর্ড একটা ক্রিকেটারের পিছনে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করে এইটা আপনাদের জানা আছে কিনা জানি না, একটা খেলোয়াড়ের ইনজুরি হলো বা, কিছু হলো এসব কিছুর পিছনে ওদের পিছনে আমরা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করি সেটা তো আগে কখনো চিন্তাই করা যেত না।’

বোর্ড সভাপতি আর যোগ করেন, ‘শুধু দুইটা টেস্ট ম্যাচ না, আমরা টেস্ট হেরেছি আফগানিস্তানের কাছে, ভারতের বিপক্ষে, পাকিস্তানেও। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে পরপর দুটো টেস্ট হারলাম। এর পরও কেউ যদি বলে খেলবে না! আমার ধারণা ছিল সবাই উঠে পড়ে লাগবে। সেই জায়গায় কেউ যদি বলে খেলবে না, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলবে, এরপর আর বলার কিছু থাকে না।’

সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে নিউজিল্যান্ড সিরিজে থাকছেন না সাকিব। শ্রীলঙ্কায় যাবেন না আইপিএল খেলার কারণে। সাকিবের এমন সিদ্ধান্তের পর নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। এখন থেকে কেউ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে চাইলে আগে থেকে জানাতে হবে বোর্ডকে। সে হিসেবে পরিকল্পনা সাজাবে বোর্ড।

পাপন বললেন, ‘এটা অস্বীকার করার কিছু নাই আর। এইরকম যে আগে কখনো হয়নি, এমনটা নয়। একটা বিষয় আমাদের পরিষ্কার, আমরা জোর করে কাউকে কোথাও পাঠাবো না। যে খেলতে চায় না সে খেলবে না। আমরা চাই সকলে খেলুক। জাতীয় দল রেখে অন্য কোথাও খেলতে ভালো লাগলে সেখানে খেলবে। আমাদের এই বার্তাটা সবার জন্য। এটা শুধু সাকিব আল হাসান এর জন্য না।’

টিআইএস/এটি