দেশের এই অবস্থার জন্য দায়ী নেতারাই
অর্থনৈতিক সঙ্কটে জেরবার শ্রীলঙ্কা। এ কারণে দেশের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে আছেন পদত্যাগের দুয়ারে। সেখানকার পরিবেশ এতটাই সঙ্গীন যে, বিক্ষোভকারীরা রীতিমতো রাষ্ট্রপতি ভবন ঘেরাও করে বসেছে। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে। শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার সনৎ জয়াসুরিয়ার মতে, এমন দুঃখজনক পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে মূল দায়টা দেশের রাজনৈতিক নেতাদের। তবে তার আশা, শিগগিরই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।
সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানান জয়াসুরিয়া। তিনি বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমার দেশ সঙ্কটে আছে। প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে লোকজন। তাদের দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই, জ্বালানি নেই, এমনকি প্রয়োজনীয় ওষুধও নেই। এর চেয়ে খারাপ আর কী হতে পারে?’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন>> আইডি কার্ড দেখতে চাওয়ায় টোল বুথের স্টাফকে চড় মারলেন তিনি!
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই সব দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের রাজনীতিবিদরা যেভাবে জাতিকে ধ্বংস করেছে তা বর্ণনা করার মতো কোনো ভাষা নেই আমার কাছে।’
বিজ্ঞাপন
গত ৯ জুলাই রাষ্ট্রপতি ভবনে ঢুকে পড়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে গিয়ে জড়ো হচ্ছিলেন লঙ্কান নাগরিকরা। জয়াসুরিয়া অবশ্য তাদের দোষ দিতে নারাজ। বললেন, ‘আপনারা যদি আমাকে এই সময়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের ভেতরে ঢুকে যাওয়া লোকদের বিষয়ে প্রশ্ন করেন, তাহলে আমি তাদের দোষ দেখছি না। তারা বরং শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ করছে। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি না করতে বারবার বলা হয়েছে তাদেরকে।’
আরও পড়ুন>> কোটি টাকার মালিক তবুও সরকারি চাকরি করেন তারা
তবে জয়াসুরিয়ার আশা, দেশে শিগগিরই গণতন্ত্র ফিরে আসবে; পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হবে। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি করার পক্ষে তার মত আছে কি না সেটা জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। সাবেক শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের ভাষ্য, ‘রনিলের কোনো বিকল্প নেই। স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা অভয়বর্ধনের নির্দেশ তাকে মাথাপেতে নিতে হবে। দেশে শান্তি ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে রনিলকে বিরোধীদলীয় নেতা সজিথ প্রেমাদাসা সহ বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। দেশের মুসলিম নেতা ও তামিল নেতাদের আনতে হবে সংলাপের প্ল্যাটফর্মে। আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দরকার।’
তবে এমন অশান্তির ভেতরই আগস্টে দেশটিতে মাঠে গড়ানোর কথা এশিয়া কাপ ক্রিকেটের। সেখানে কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করছেন না জয়াসুরিয়া। বললেন, ‘আমার পূর্ণ আশা রয়েছে এই টুর্নামেন্ট হবে। শ্রীলঙ্কায় সবাই ক্রিকেট আর ক্রিকেটারদের ভালোবাসে। শ্রীলঙ্কার জনগণ কোনও ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে যায়নি। টুর্নামেন্টটা ঠিকঠাক পরিচালনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এনইউ/এটি