বাংলাদেশের সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার মাহবুবুর রহমান সেলিম দীর্ঘদিন অস্ট্রেলিয়ার পার্থে বসবাস করছেন। তিনি সেখানে পার্থ ক্রিকেট মেন্টরিং একাডেমি গড়ে কোচিং করাচ্ছেন। সেই একাডেমির অধীনে পার্থ ক্রিকেট মেন্টোরিং ক্লাবও করেছেন। সেই ক্লাব থেকে পার্থ উইন্টার ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল হয়েছে একদিন আগেই। 

এই টুর্নামেন্ট করার কারণ সম্পর্কে পার্থ থেকে মাহবুবুর রহমান সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াতে ক্রিকেট  খেলা হয় মূলত সামারে (গ্রীষ্মে)। শীতে এখানে ফুটি (অস্ট্রেলিয়ান  ফুটবল) সকার, হকি, বাস্কেটবল, রাগবি  খেলে। যে জিনিসটা আমি লক্ষ্য করে আসছি;  শীতকালে অফ সিজনে তরুণরা ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে থাকে। এজন্য মৌসুম শুরু হলে সমন্বয় করতে সময় লাগে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ক্লাবগুলো ক্রিকেটার নির্বাচন শুরু করে শীতের পরপরই। এই জন্য ক্রিকেটারদের মোমেন্টাম, আগ্রহ, দক্ষতা  ও ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য আমি এই উদ্যোগ নেই।’

আরও পড়ুন >> দাবা প্রেমিক এক যুগ্ম সচিবের গল্প

এই টুর্নামেন্টে ১৮০ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছে। অনূর্ধ্ব ১১-১৪ পর্যন্ত চারটি বয়স ভিত্তিক দল অংশ নেয়। প্রতি বয়সে চারটি করে দল রয়েছে। এই চারটি দল একে অপরের সাথে খেলে ফাইনালে উঠে। এই টুর্নামেন্টটি তিন মাস ব্যাপী হয়েছে। 

সেলিমের এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছে  ওয়াকাও (ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট এসোসিয়েশন), ‘শীতে অস্ট্রেলিয়ায় বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে সম্ভবত এটাই প্রথম। তাই আমার এই উদ্যোগকে ওয়াকা বেশ সাধুবাদ জানিয়েছে। সামনে এই টুর্নামেন্টটি আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও কার্যকর করতে ওয়াকা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।’ -পার্থ থেকে বলেন সেলিম।

সেলিমের কোচিংয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যুব রাজ্য দলে সুযোগ পেয়েছেন কয়েকজন, ‘আমি চাই একদিন আমার কোচিংয়ে ও আমার একাডেমি থেকে একদিন অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে খেলবে। সেটা বাংলাদেশের জন্য হবে সবচেয়ে গর্বের।’

এজেড/এটি/এইচএমএ