বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগগুলোয় দারুণ চাহিদা ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের। আর তাতে সাড়া দিতে গিয়ে ক্যারিবীয় ক্রিকেটারদের দেশের হয়ে খেলতে বেশ অনীহা। ক্রিকেটারদের এমন মনোভাবের কড়া সমালোচনাই করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স। কোচের সেই সমালোচনার পাল্টা জবাবই এবার দিলেন দেশটির অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আর বেশি সময় বাকি নেই। আগামী ১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় বসবে টি-টোয়েন্টির বিশ্বআসর। তার আগে সময় আর বাকি মাত্র দুই মাস। ঠিক এমন সময় রাসেল, সুনীল নারাইনদের পাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তা প্রকাশ করেছিলেন উইন্ডিজ কোচ সিমন্স। 

ক্রিকেটারদের এমন মনোভাব রাগিয়েই দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচকে। তিনি বলেছিলেন, ‘কারো কাছে গিয়ে ভিক্ষা চাইতে পারব না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার জন্য কাউকে বলতে পারব না।’

সেই বক্তব্যের একটা পাল্টা জবাব দিলেন নারাইন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিমন্সের বক্তব্যের একটি ছবি দিয়ে রাসেল বলেছেন, ‘এমন কিছু একটা হবে, তা জানাই ছিল। তবে এই ব্যাপারে আমি এখন চুপ থাকতে চাই।’

ভারতের কাছে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হেরেছে ৪-১ ব্যবধানে। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও গত রাতে হেরে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল দলটির। তার আগে কোচ সিমন্স রাগ ঝেড়েছিলেন দলটির ক্রিকেটারদের ওপর।

ঝাড়বেনই না কেন? দল যখন এমন বিপদে, তখন দলের দুই বড় তারকা রাসেল ও নারাইন যে খেলে বেড়াচ্ছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট দ্য হান্ড্রেডে!

তবে তাদের জাতীয় দলকে প্রাধান্য না দেওয়ার একটা কারণও অবশ্য দিনকয়েক আগে জানিয়েছিলেন নারাইন। বলেছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাজঘরের পরিবেশ ভাল নয়। সে কারণেই তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে আগ্রহ খুঁজে পান না। 

নারাইন বলেছিলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্রেসিংরুমের আড়ালে অনেক কিছুই হয়। সেসবে আমি নিজেকে জড়াতে চাই না। দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে কে না ভালবাসে!’

এনইউ