দুটি চার দিনের ম্যাচ আর তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলতে বর্তমানে উইন্ডিজ সফর করছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। যেখানে চারদিনের দুটি ম্যাচই নিষ্প্রাণ ড্রয়ে শেষ হয়। সাদা পোশাকের ফরম্যাটের সিরিজ ভাগাভাগির পর উইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটের লড়াইয়ে নেমে শুরুটা হার দিয়ে হয় সফরকারীদের। তবে দ্বিতীয় ম্যাচটি ৪৪ রানে জিতে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ।

সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন সামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ওপেনার নাঈম শেখ। ফর্ম হারিয়ে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই তরুণ খেলেন ১০৩ রানের ইনিংস। সঙ্গে রানের দেখা পেয়েছেন দীর্ঘ ৩ বছর পর জাতীয় দলে ফেরা সাব্বির রহমান। অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৫৮ বলে ৬২ রান করেন এই ডানহাতি। এতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তোলে টাইগাররা।

আরও পড়ুন>> সেঞ্চুরি করে ‘হেলিকপ্টার উদযাপন’ নাঈম শেখের

আগের ম্যাচে ক্যারিবীয় পেসারদের বোলিং তোপে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল স্রেফ ৮০ রানেই। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেটে গতি ও বাউন্স আগের দিনের চেয়ে ছিল একটু কম। সেটাই কাজে লাগাগেন ওপেনার নাঈম। যদিও আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ৬ রানে বোল্ড হন বাজে শটে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসানের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটিতে ধাক্কা সামাল দেন নাঈম। পরে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মিঠুনের সঙ্গে যোগ করেন ৯৩ রান।

এই জুটি ভাঙার আগে শতক তুলে নেন নাঈম। ১১৭ বলে ১৪ চার ও ১ ছয়ে ১০৩ রান করে থামেন তিনি। শেষদিকে দলের রান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন সাব্বির। সঙ্গী হিসাবে পান মাহমুদুল হাসান জয়ের জায়গায় সুযোগ পাওয়া শাহাদত হোসেন দিপুকে। ২৪ রান করেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য দিপু। 

আরও পড়ুন>> সিডন্সের কাঁধেই নতুন দায়িত্ব দিচ্ছেন পাপন

তবে এরপর ফিফটি তুলে নেন সাব্বির রহমান। ৫৮ বলে ৬২ রান করেন তিনি। ১২ বলে অপরাজিত ১৮ রান করেন জাকের আলি অনিক। বাংলাদেশ ‘এ’ দল থামে ৬ উইকেটে ২৭৭ রানে।

২৭৮ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে স্বাগতিকদের দারুণ শুরু এনে দেন ত্যাগনারাইন চন্দরপল ও জশুয়া ডি সিলভা। ২০ ওভার ২ বল খেলে তারা যোগ করেন ৯৩ রান। ৩৮ রানে থাকা চন্দরপলকে ফিরিয়ে এই পার্টনারশিপ পেসার ভাঙেন রেজাউর রহমান রাজা। অধিনায়ক সিলভা অবশ্য ফিফটির দেখা পান। ৬৮ রানে থাকা সিলভাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান রাজা।

আরও পড়ুন>> দল থেকে বাদ পড়েই স্ত্রীকে নিয়ে মালদ্বীপে শান্ত

পরে সফরকারী বোলারদের ধারাবাহিক বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি উইন্ডিজ ‘এ’ দল। টেডি বিশপ ৩১, অ্যান্ডারসন ফিলিপস ১৫ রান করে আউট হলে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে ব্যর্থ হয় তারা। শেষদিকে ব্রায়ার্ন চার্লসের অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস হারের ব্যবধান কমিয়েছে শুধু। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানে থামে ক্যারিবীয়দের ইনিংস। এতে ৪৪ রান ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ।

সফরকারীদের হয়ে পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। এছাড়া রাজা নেন ২ উইকেট। অলিখিত ফাইনালে রূপ নেওয়া সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ ২০ আগস্ট, একই ভেন্যুতে।

টিআইএস/এনইউ