প্রায় দুই যুগ ধরে (২০০০-২০০১) প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে আসছেন অলক কাপালি। তবে আজ সোমবার এক ফেসবুক পোস্ট দিয়ে বিদায় জানালেন লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেটকে। যদিও ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি।

ইনজুরির কারণে জাতীয় দলের হয়ে খুব বেশি রাঙাতে না পারলেও খেলে যাচ্ছিলেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট। তবে তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দিতে এবং নিজের পরিবারের সঙ্গে আরো বেশি সময় কাটাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী কাপালি। 

ঢাকা পোস্টকে অবসর নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করছি এখনই সময় আমার সরে যাওয়ার জন্য। আমি চাই তরুণরা এগিয়ে যাক, আর তাছাড়া পরিবারকে সময় দেওয়ারও একটা বিষয় ছিলো, সব মিলিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া। তবে ডিপিএল, বিপিএল এগুলো নিয়মিত খেলবো।’ 

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রায় ২২ বছরে ১৭২ ম্যাচ খেলেছেন কাপালি। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তুষার ইমরান (১৮২) ও মোহাম্মদ আশরাফুলের (১৭৪)।

কাপালি ১৭২ ম্যাচে করেছেন ৯১৩৮ রান। সেঞ্চুরি ২০টি, ফিফটি ৩৭টি।  লেগ স্পিনে তুলেছেন ২১৭ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৩৩ রানে ৭ উইকেট। 

এর আগে বিদায় ঘোষণা দিয়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে কাপালি লিখেছেন, ‘আমি ২০০০/০১ মৌসুম  থেকে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশী সময়  ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে আসছি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-২০ ফরম্যাটে অংশগ্রহন করেছি । এই দীর্ঘ পথচলায় অনেকেই আমাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন, সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীর কাছে আমি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’

সঙ্গে কাপালি আরও যোগ করেন, ‘আমি  বাংলাদেশ ও বৃহত্তর সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনে অংশ হতে পারায় গর্বিত। আমি মনে করি এখন তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য আরো বেশী প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। তরুণ ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসার জন্য এবং আমার পরিবারকে বেশী সময় দেওয়ার লক্ষ্যে আমি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ২০২২/২৩ মৌসুম  থেকে  শুধুমাত্র লিমিটেড ওভার ক্রিকেট (ওডিআই, টি-টুয়েন্টি ইত্যাদিতে) অংশগ্রহণ করবো।

আমি বৃহত্তর সিলেটের ক্রিকেটের সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করছি। সিলেটের ক্রিকেটের  উন্নয়নের জন্য যে কোনো সহায়তার জন্য আমি সাধ্যমত চেষ্টা করবো প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি।’

এসএইচ/এটি