বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ইদানিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছেন। কিছুদিন আগে অলক কাপালির প্রথম শ্রেণি থেকে সরে যাওয়া, তার আগে তামিমের টি-টোয়েন্টি অবসর যার সবই হয়েছে ফেসবুক পোস্টে। সর্বশেষ এবার এই তালিকায় যুক্ত হলেন মুশফিকুর রহিম। যদিও জাতীয় দলের নির্বাচক রাজ্জাক বলছেন মাঠ থেকে অবসর নিলেই ভালো হতো, একটা ট্রেন্ড চালু হতো।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ সোমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক। মুশফিকের অবসর নিয়ে তিনি জানালেন, ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে অবসর নেওয়াই ভালো। মাঠ থেকে নিলে ভাল হয়।

এ বিষয়ে রাজ্জাক বলেন, ‘মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারাটাই ভালো। মুশফিক যদি মাঠ থেকে বিদায় নিতো সেটাই বোধহয় ভালো হতো। যদিও এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আর অবসর যখন নিবে ঠিক করেই রেখেছে তাহলে এশিয়া কাপের মাঠ থেকে অবসর নিতো, ম্যাচের সময় বললেও খুব একটা খারাপ হতো না। এটা একটা ট্রেন্ড চালু হতো, সিস্টেম ও চালু হতো। এখন তার সিদ্ধান্ত সে নিয়েছে।’

আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানে টাইগারদের থেকে বড় কিছুই আশা করছেন নির্বাচক রাজ্জাক। একইসা সঙ্গে জানালেন এশিয়া কাপে ভালো না করলেও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে প্রচেষ্টা দেখিয়েছে টাইগাররা এটা ধরে রাখলে ফলাফল করা কঠিন কিছুই না।

আব্দুর রাজ্জাক বলছিলেন, ‘আমি আশা করি বাংলাদেশ যখন বড় কোন টুর্নামেন্ট খেলতে যায় তখন বড় কিছুই করবে। আমি নিজে যখন খেলতাম তখনো যেমন আশা করতাম এখনো ঠিক একইরকম আশা করি। যদিও এবারের এশিয়া কাপে আমরা ভালো কিছু করতে পারেনি, তবে দলের ইন্টেন্ট ছিল অসাধারণ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যদি দল এমন চিন্তাধারা নিয়ে খেলে তাহলে ফলাফল করা খুব কঠিন কিছু হবে না।’

মিরপুরে আজ সৌম্য সরকারকে দেখা গিয়েছে রানিং করতে। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আসন্ন ১২ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া ক্যাম্পে এ অলরাউন্ডার থাকবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু না বললেও রাজ্জাক জানালেন সৌম্য এবং নাঈম সবসময় টার্গেটের মধ্যে থাকে। 

রাজ্জাক বলেন, ‘সৌম্য সবসময় আমাদের টার্গেটের মধ্যে থাকে। নাঈম শেখ ও তার মধ্যে থাকে। আমাদের আসলে ঘুরে-ফিরে ওখান থেকেই নিয়ে নিতে হয়। এর বাইরে বড় পরিসরে আসলে জাতীয় দলের জন্য কে আছে আমার জানা নেই। চেষ্টা করবো দলের জন্য সেরা কম্বিনেশন পাঠাতে বিশ্বকাপে।’

এসএইচ/এটি