সবাই সেরাটা দিলে বিশ্বকাপ জিতবো : হাসান মাহমুদ
তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়ই লড়েছেন ইনজুরির সঙ্গে। যখনই বল হাতে দাপট, তখনই ইনজুরি ঘায়েল করেছে তাকে। সেই অতীত পেছনে ফেলে এবার জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে। এবারই প্রথম কোন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নাম রয়েছে হাসানের। তাইতো এই তরুণ একটু বেশিই উচ্ছ্বসিত, আবেগের লাগামটাও যেন ছেড়ে দিয়েছেন!
ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদককে জানালেন দেশের হয়ে এত বড় মঞ্চে অংশগ্রহণ করাটা অবশ্যই গর্বের। সঙ্গে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নেও পেসার হাসান মাহমুদের চোখে!
বিজ্ঞাপন
টাইগাররা দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি খেলতে ২২ তারিখ দুবাইয়ের বিমান ধরবে। এর মধ্যে দেশের মাটিতে নেই তেমন অনুশীলন, যা রয়েছে তা সবই ব্যক্তিগত। পেসার হাসান মাহমুদ এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন। বিশ্বকাপ দলে খেলবো এটা ভাবতেই উত্তেজনা কাজ করছে লক্ষীপুরের এই পেসারের।
হাসান বলেন, ‘বিশ্বকাপের মতো এত বড় আসরে খেলবো এটা ভাবতেই নিজের ভেতর খুবই উত্তেজনা কাজ করছে। এত বড় এক আসরে বাংলাদেশের হয়ে অংগ্রহণ করতে যাচ্ছি এটা আরো বড় গর্বের বিষয় আমার কাছে। খুবই আনন্দিত আমি।’
বিজ্ঞাপন
অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন পেসারদের জন্য সহায়ক। সেক্ষত্রে তরুণ এই সেনশেসন পেসার অস্ট্রেলিয়ার পেস সহায়ক কন্ডিশনকে কাজে লাগাতে চান। হাসান বলছেন সঠিক জায়গা বুঝে বোলিং করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এ পেসার বলছিলেন, ‘জিনিসটা হচ্ছে নির্ভর করে কে কেমন প্লানে বোলিং করছে। স্বাভাবিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনটা পেস বোলারদের জন্য বেশ ভালো সহায়ক। সেক্ষত্রে আমরা যদি ভালো জায়গা বুঝে বল করতে পারি তাহলে কন্ডিশনের পুরোপুরি সহায়তা আয়ত্ব করতে পারবো।’
বাংলাদেশ সেদিনই বিশ্বকাপ জিতবে, যেদিন দলের সকল খেলোয়াড় মন থেকে নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। হাসান বলেন, ‘বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন তো দেখি সবসময়। ইনশাআল্লাহ, যখন দলের সকল খেলোয়াড়ই মন থেকে নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রচেষ্টা করবে সেদিন জিতবো আমরা।’
নতুন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম নিয়েছেন টাইগারদের টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব। যদিও পেসার হাসানের সঙ্গে এখনো তেমন কোন কাজ হয়নি সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারের। তবে হাসান ঢাকা পোস্ট-কে বলছেন সামনে কাজ হবে, ‘আসলে শ্রীধরন শ্রীরাম যখন আসে তখন তো আমি ইনজুরিতে ছিলাম এক প্রকার দলের বাইরে। সেজন্য ওত বেশি কথা হয়নি, তবে সামনে সুযোগ রয়েছে কাজ করার কথা তো হবেই। এছাড়া বোলিং শুরু করলে তিনি তো পর্যবেক্ষণ করবেন সর্বক্ষণ।’
মানুষ বড় হলে নাকি শিকড়কে ভুলে যায় এক একটা চালু রয়েছে। তবে লক্ষীপুরের তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ এখন জাতীয় দলে খেললেও ভুলে যাননি খারাপ সময়ে তার পাশে থাকা মানুষদের। ক্রিকেটটা রক্তে মিশে আছে বলে জানালেন এই পেসার।
২২ বছর বয়সী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘একটা সময় আমি খেলার জন্য ক্রিকেট খেলতাম। কিন্তু এখন ক্রিকেটটা রক্তের সাথে মিশে গেছে। পরিবারের সবাইকে অনেক সহযোগিতা করেছে এই পর্যন্ত আসতে। আমার আব্বা-আম্মার কথা বলতে হয়। একইসাথে আমার জেলার কোচ মনির হোসেন স্যার আমাকে এজ লেভেল থেকেই দেখাশুনা করেছেন। আমার কিছু বন্ধু-বান্ধব রয়েছে খারাপ সময়ে তারাও সাহায্য করেছে আমাকে।’
২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মিশন শুরু। ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ দলের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচ ২৭ অক্টোবর সিডনিতে। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিসবেনের গ্যাবায় ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ লড়বে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে। অ্যাডিলেডে বাংলাদেশের শেষ দুটি ম্যাচ খেলবে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২ নভেম্বর ভারত ও ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই সাকিবদের।
এসএইচ/এটি