পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই নেই তিন উইকেট। ৭৭ রানে অর্ধেক ইনিংস হাওয়া। সংযুক্ত আরব আমিরাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ গত রাতে বিপাকেই পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে অধিনায়ক নুরুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে আফিফ হোসেন গড়েন ৫৪ বলে ৮১ রানের জুটি, নিজে খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ৭৭ রানের ইনিংস। তাতে বাংলাদেশ পায় ১৫৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ।

শুরুতে উইকেট খুইয়ে চাপেই পড়ে গিয়েছিল সফরকারীরা। সেখান থেকে আফিফ আর নুরুল উদ্ধার করেছেন দলকে। তবে আফিফ হোসেন ম্যাচ শেষে জানালেন, টপ অর্ডারের এমন ব্যর্থ হওয়াটা সমস্যার কিছু নয়।

ম্যাচ শেষে বিসিবির এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘শুরুতে উইকেট একটু কঠিন ছিল। বল গ্রিপ হচ্ছিল। টপঅর্ডার ভালো করতে পারেনি, পরের ম্যাচে ইনশাআল্লাহ করবে। এটা সমস্যা নয়। আমি আর সোহান ভাই ব্যাট করার সময় আস্তে আস্তে উইকেট ভালো হচ্ছিলো দেখে আমরা আরও ভালো ব্যাটিং করতে পেরেছি।’

ম্যাচ শেষে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটাও গেছে তার হাতে। চাপের মুখে ৫৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। পুরস্কার নেওয়ার সময় তিনি জানালেন, এমন চাপের মুহূর্তগুলো বেশ উপভোগই করেন তিনি। আফিফের কথা, ‘সবসময় চাপের মুখে ব্যাটিং করতে ভালো লাগে। আমি শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম, সফল হওয়ায় ভালো লাগছে।’

মুশফিকুর রহিম অবসরে চলে গেছেন ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর ফরম্যাট থেকে। মাহমুদউল্লাহর জায়গাই হয়নি বিশ্বকাপ দলে, যে কারণে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির উদ্দেশ্যে আয়োজিত আমিরাত সফরেও নেই তিনি। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও এখন খেলছেন সিপিএলে। তবে আফিফ জানালেন, সিনিয়রদের এমন না থাকার পরও বাড়তি কোনো চাপ নেই দলের ওপর। 

তিনি বলেন, ‘কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় নেই। তবে তারা না থাকলেও আমাদের ওপর বাড়তি চাপ নেই। আমাদের সবসময় সেরা একাদশই খেলাতে হবে। আশা করি পরের ম্যাচেও আমি রান করতে পারবো।’

এনইউ