তামিম ইকবাল। ফাইল ছবি

এর আগে এমন অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়তে হয়নি বাংলাদেশ দলকে। করোনার মধ্যে প্রথমবার বিদেশ সফরে গিয়ে হোটেলবন্দি সময় কাটাতে হচ্ছে টাইগারদের। প্রত্যেকে অবস্থান করছেন আলাদা আলাদা রুমে। বন্দিদশা থেকে প্রথমবার খোলা বাতাসে গিয়ে একটু আজব লেগেছিল ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাছে।

সমান তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড গেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে সফরকারীদের। এই সময় সর্বমোট চারবার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসলে পরের সাত দিন অনুশীলনের সুযোগ মিলবে। শুরুর সাত দিন নিজ নিজ কক্ষে বন্দি থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। 

যেখানে এরই মধ্যে দুইটি পরীক্ষায় সবাই নেগেটিভ হয়েছেন। এজন্য দিনের নির্দিষ্ট একটি সময় মুক্ত বাতাসে বের হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। সেটিও ৩০-৪০ মিনিটের বেশি নয়। কয়েকদিন ঘরবন্দি থাকার পর প্রথমবার খোলা বাতাসের বের হয়ে অন্যরকম অনুভূতি হয়েছিল তামিমের।

সোমবার নিউজিল্যান্ড থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, ‘প্রথমবারের মতো যখন ফ্রেশ বাতাসে গিয়েছিলাম একটু আজবই লাগছিল। কারণ, দুই-তিনদিন আমরা রুমের মধ্যে ছিলাম। তারপরে হঠাৎ করে আমাদের এলাউ করা হল যে আমরা নিচে যেতে পারব। তখন সবার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগল। মনে হল অনেক বছর পর দেখছি একেকজনকে।’

তবে খোলা বাতাসে বের হলেও নিজেদের মধ্যে অন্তত দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। এরপরও দলের সবার সঙ্গে সবার দেখা হচ্ছে না।

তামিম বলেন, ‘যেহেতু নিচে ফ্রেশ এয়ারের জন্য একটা গ্রুপ সেট করা থাকে, পাঁচ-সাত জনের গ্রুপে আমরা যাই। তো এখনো অনেক টিমমেট আছে যাদের সাথে আমাদের দেখা হয়নি। তো যেটা বললাম, এটা ডিফারেন্ট, চ্যালেঞ্জিং, তবে পাস হয়ে যাচ্ছে।’

কষ্ট হলেও সময়গুলো মন্দ যাচ্ছে না তামিমের, ‘সেলফ আইসোলেশন কষ্টদায়ক ছিল। এখনো চলছে আসলে। তবে সত্যি কথা, আমাকে যদি ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞাসা করেন, আমি মনে করেছিলাম আরো কষ্টদায়ক হবে। কিন্তু কোনোভাবে সময় কেটে যাচ্ছে। অলমোস্ট চার-পাঁচদিন হয়ে গেল। আর বেশি বাকি নাই, আশা করি এই টাইমগুলোও তাড়াতাড়ি পাস হয়ে যাবে।’

টিআইএস/এমএইচ