শক্তির বিচারে মালয়েশিয়ার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ভারত। তাই খর্বশক্তি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বেঞ্চের শক্তিটা একটু পরখ করে দেখলেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত কর। তবে পরীক্ষায় ভালোভাবেই উতরে গেছেন মেঘনা-রিচারা। মারমুখী ব্যাটিংয়ে নতুনরা বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার পর স্পিনারদের ঘূর্ণিতে সহজ জয় পেয়েছে টুর্নামেন্টের ৫ বারের চ্যাম্পিয়নরা। 

সিলেটের আউটার মাঠে সোমবার বৃষ্টি আইনে মালয়েশিয়াকে ৩০ রানে হারিয়েছে ভারত। ৫৩ বলে ৬৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাভিনেই মেঘনা। 

সিলেটের মেঘলা আবহাওয়ায় টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিয়মিত ওপেনার স্মৃতি মান্ধানাকে এদিন বিশ্রাম দিয়েছে ভারত। তবে তার অভাবটা একদমই বুঝতে দেননি বদলি হিসেবে ওপেনিংয়ে আসা মেঘনা। শেফালি ভার্মাকে নিয়ে প্রথম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১১৬ রান।

১১ চার ও ১ ছয়ে ৬৯ রান করে মেঘনা ফিরলেও রিচা ঘোষকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন শেফালি। ৩৯ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন তিনি। রিচার ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভারতের রান থামে ১৮১ -তে। 

পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না করেই বিদায় নেন ওপেনার দুরাইসিংহাম। চতুর্থ ওভারে আরেক ওপেনার ওয়ান জুলিয়াকে ফেরান রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়। মালয়েশিয়ার ইনিংসে ৫ ওভার ২ বল খেলা হওয়ার পর আসে বৃষ্টি। 

ভারী বৃষ্টির কারণে এরপর খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। খেলা বন্ধ হওয়ার পর্যন্ত ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ার দরকার ছিল ৪৬ রান। তবে সেসময়ে মাত্র ১৬ রান তুলতে পারলে ৩০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এশিয়ার দলটিকে।

এনইআর/এটি