বিতর্ক থেমে নেই। বুধবারের পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও মুখ বন্ধ নেই কারোর। সামাজিক যোগাযোগ্য মাধ্যমে অনেকেই এখনও এ নিয়ে সরব। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটাতে অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। ফেইক ফিল্ডিং যেটি করেছিলেন বিরাট কোহলি সেটির জন্য বাংলাদেশ ৫ রান পেয়ে গেলে তো ম্যাচটাই হয়ে যেতে সাকিব আল হাসানদের। এমনকি ভেজা মাঠে খেলা নিয়েও সমালোচনার তোপে আইসিসি! 

ব্যাপারটায় মনে কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু কোড অব কনডাক্ট বলে একটা ব্যাপার আছে। সব বলা যায় না! সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আরেকটা ম্যাচ। সুপার টুয়েলভের গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে রোববার প্রতিপক্ষ ভারত। তার আগেও ঘুরে ফিরে সেই ভারত ম্যাচের প্রসঙ্গ আসছে। যেখানে জিতে গেলে হয়তো সেমি-ফাইনাল নিয়েই এখন ভাবতো টাইগাররা।

শুক্রবার সেই কষ্ট চাপা দিয়েই বাংলাদেশ দল অনুশীলন করল অ্যাডিলেডের কারেন রল্টন ওভালে। খোলা এই মাঠে গোটা দলটাই নেমে পড়ল মাঠে। সকাল থেকে দুপুর অব্দি চলল ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন। তারপর গণমাধ্যমের সামনে এলেন তাসকিন আহমেদ। যিনি গোটা টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত বল করেছেন।

কথা বলতে গিয়ে সেই অপ্রিয় প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হলো তাসকিনকে। ভারত ম্যাচের বিতর্কিত কিছু বিষয়টা উঠতেই অবশ্য সংগতভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন এই পেসার, ‘আসলে এটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত, কিছু জিনিস দেখলাম যে কন্ট্রোভার্সি হচ্ছে। ফেইক থ্রো বা অন্যান্য জিনিস ওগুলো আসলে সম্পূর্ণ আমাদের কন্ট্রোলের বাইরে। ওটা নিয়ে আসলে চিন্তা করে লাভ নেই। তার থেকে বড় জিনিস ওই ম্যাচটা এখন অতীত। তো সামনের যে ম্যাচটা আছে ওটা নিয়েই চিন্তা করতে চাই। অবশ্যই আইসিসির ইভেন্ট সবকিছুই আসলে তাদের আন্ডারে। তারা যে কল দিয়েছে ওইসময়ে সেটা তাদের ব্যাপার।’

সঙ্গে অবশ্য তাসকিন আরও যোগ করলেন, ‘দেখুন, যদিও কিছু হলে হয়তো আমাদের জন্যই ভালো হয়তো। যেহেতু এটা এখন আর ফেরত আনতে পারবো না, তাই এটা নিয়ে আর ভাবছি না। লক্ষ্য থাকবে সামনের ম্যাচে সেরাটা দিয়ে ভালো করার।’

তবে জেতা একটা ম্যাচ হেরে কষ্টে পুড়ছে, তাসকিনসহ গোটা বাংলাদেশ দল। মাত্র ৫ রানে হার। তারচেয়ে বড় কথা আম্পায়ারের বিতর্কিত দুটো সিদ্ধান্ত যা সর্বনাশ করে দিয়েছে। সমর্থকদের মতোই ক্রিকেটাররাও মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে ঘুম আসেনা তাদেরও।

অ্যাডিলেডের মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে তারকা ইমেজ দূরে সরিয়ে তাসকিন বলছিলেন, ‘আসলে ম্যাচ হারলে খুব খারাপ লাগে, যে কোনো ম্যাচ। ওইদিন রাতে ঘুমাতে সবার কষ্ট হয় সত্যি কথা যেটা। ম্যাচ হেরেছি এটা অবশ্যই খারাপ লাগছে। কিন্তু এখান থেকে অনেক কিছু পজিটিভ নেওয়ার আছে। ভালো ক্রিকেট খেলতে পারছি, উন্নতি হচ্ছে। দোয়া করবেন যাতে শেষটা ভালো করে আমরা যেতে পারি।’

এটা শেষ কথা। জয়ে শুরু হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপ মিশন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের পর জিম্বাবুয়েকেও হারিয়েছে টাইগাররা। এবার শেষটাও যদি জয়ে রাঙাতে পারে-তবে হাসিমুখেই দেশে ফেরা যাবে। রোববার সেই মিশনেই সামনে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে যারা নিজেরাও চলে এসেছে সেমিফাইনালের দৌড়ে।

এটি