ঢাকা পর্বের প্রথম অংশের মতো চট্টগ্রাম পর্বের শুরুটাও ভালো হল না খুলনার। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইয়াসির আলীর দল। বিপদের মুখে দলকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক ইয়াসির এবং আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজম খান। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটারও বিদায় নিলে ১৩০ রানে অলআউট হয় খুলনা। 

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মান রেখেছেন বোলাররা। প্রথম ২ ওভারে ৩ রানে, ১ উইকেট। তামিম ইকবালকে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। 

নিজের দ্বিতীয় ওভারে শারজিল খানকেও বোল্ড করেন ওমরজাই। পাওয়ার প্লেতে খুলনার রান আসে মোতে ২৪। তিন উইকেট হারিয়ে যখন একেবারে দিশেহারা খুলনা, তখন কিছুটা মেরামতের চেষ্টা চালান ইয়াসির আলী এবং আজম খান। কোনো উইকেট না হারিয়ে দ্রুত গতিতে রান তখন ভালোভাবেই আগাচ্ছিল। দ্বাদশ ওভারে এসে সবকিছু এলোমেলো করে দেন রবিউল হক।

দ্বাদশ ওভারের তৃতীয় বলে ইয়াসির আলীকে ফেরান রবিউল। একই ওভারের পঞ্চম বলে সাব্বির রহমান ফেরেন ১ রানে। পরের ওভারে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটা তুলে নেন রকিবুল। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত শতক পাওয়া আজমকে ৩৪ রানে ওমারজাইয়ের ক্যাচে পরিণত করেন বাঁহাতি এ স্পিনার। 

পাকিস্তানি আমাদ বাটও টেকেননি বেশিক্ষণ। ৭ বল খেলে করেছেন মোটে ৪ রান। অষ্টম উইকেটে ৩২ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাহিদুল ইসলাম। ৮ বলে ১৫ রান করে নাহিদুল ফিরলে শেষ পর্যন্ত অলআউট হওয়া ঠেকাতে পারেনি খুলনা।