চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ব্যাট হাতে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ রেখে চলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কেননা এখন পর্যন্ত বিপিএলের চতুর্থ পর্ব শেষে আসরের সর্বোচ্চ রানের তালিকায় থাকা সেরা তিনের সব ব্যাটারই বাংলাদেশের।

যেখানে তালিকার এক নম্বরে রয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। আসরের ১০ ম্যাচ খেলে এই ব্যাটার করেছেন ৩৫৬ রান। শান্তর স্ট্রাইকরেট (১১৪ দশমিক ৪৬) যদিও আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই নয়। তবে বিপিএলে তিনি নিয়মিত ব্যাট হাতে রান করছেন, এটাই শান্তর দলের জন্য স্বস্তির বিষয়।

তালিকার দুই নম্বরে আছেন ঢাকা ডমিনেটরসের অধিনায়ক নাসির হোসেন। শান্তর সমান সংখ্যাক ১০ ম্যাচ খেলে নাসির করেছেন ৩৪০ রান। শান্ত’র চেয়ে অবশ্য নাসিরের স্ট্রাইকরেট কিছুটা বেশি। ১২৬ দশমিক ৩৯ স্ট্রাইকরেটে টুর্নামেন্টে ব্যাট করে চলেছেন ঢাকার এই ক্রিকেটার।

তালিকার তিন নম্বরে অবস্থান করছেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চলমান বিপিএলে ব্যাট হাতে রীতিমত বিষ্ফোরক মূর্তির রূপে খেলে চলছেন বরিশালের কাপ্তান। আসরে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ ব্যাট করে সাকিবের সংগ্রহ ৩১১ রান। ব্যাট করেছেন ১৮৫ দশমিক ১১ স্ট্রাইকরেটে। এমন স্ট্রাইকরেট দেখলেই বোঝা যাচ্ছে ব্যাট হাতে ঠিক কতটা ছন্দে রয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

চলমান বিপিএলে বল হাতেও দাপট দেখিয়ে চলেছেন দেশি ক্রিকেটাররা। তবে সেরা উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় রয়েছেন দু’জন বিদেশি বোলার। বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট শিকার করে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। খুলনা টাইগার্সের এই পেসার ১৪ দশমিক ০৭ গড়ে বল করেছেন ৬ দশমিক ৯০ ইকোনোমিতে। যদিও ইতোমধ্যে বিপিএল ছেড়ে পাকিস্তানে উড়াল দিয়েছেন তিনি।

তালিকার দুই নম্বরে রয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের আরেক পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। এখন পর্যন্ত আসরে ১০ ম্যাচ খেলে আমিরের শিকার ওয়াহাবের সমান ১৩ উইকেট। ১৮ দশমিক ৩০ গড়ে এই পেসার ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৫ দশমিক ৯৫ ইকোনোমিতে।

এদিকে ব্যাট হাতে তালিকার দুই নম্বরে থাকা নাসির হোসেন সেরা বোলারদের তালিকায়ও রয়েছেন তিন নম্বরে। ঢাকা ডমিনেটরসের এই অধিনায়ক ১০ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছেন ১২ উইকেট। ১৫ দশমিক ৮৩ গড়ের সঙ্গে তিনি ৭ দশমিক ৬০ ইকোনোমিতে বল করেছেন।

এসএইচ/এএইচএস